পুজোর ক’দিন সকলেই যেন তারকা!উৎসবের সময়ে এ বঙ্গের নারীদের দেখে এমন মন্তব্য করে থাকেন বহু পুরুষ। বাকি বছরের সাজ যেমনই হোক না কেন, এ ক’টি দিন শাড়ি ছাড়া কম মেয়েরই চলে। আবার চিরাচরিত বাঙালি মেজাজের সুতির শাড়ি, বড় টিপের সাজও অনেকের পছন্দ হয় না। পাড়ার মণ্ডপে বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে উঠতে চাই অন্য রকম চমক। রইল কয়েক জন বলি অভিনেত্রীর শাড়ির সাজ। নিজেকেও এমন ভাবে সাজিয়ে তোলা যায় এই পুজোয়।
বলি-পাড়ায় শাড়ির সমনাম বিদ্যা বালন। তারকাদের শাড়ির কথা উঠলেই প্রথমে যেন তাঁর মুখটিই মনে পড়ে। উৎসবের মরসুম আসতেই বেনারসি কাজের লাল সিল্কে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছেন বিদ্যা। লালের মাধুর্য যে বছরের এই সময়টিতে বেড়ে যায়, ইনস্টাগ্রামে সে সাজের ছবি দিয়ে মনে করালেন অভিনেত্রী।
বাকি বছর যেমনই সাজুন, উৎসবের দিনে শাড়িতে দেখা যায় কাজলকেও। বাঙালি বাড়ির মেয়ে বলে কথা! গণেশ চতুর্থীতে এমন লাল-হলুদের স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। অষ্টমীর সন্ধ্যার সাজও এমন করা যায়। এক রঙা সিল্কের সঙ্গে মানানসই একটি সিল্কের ব্লাউজ। ফুটে উঠবে ব্যক্তিত্ব। জমকালো গয়নায় সাজ হবে সম্পূর্ণ।
ব্যক্তিত্বের প্রসঙ্গ উঠলে অবশ্য আজকাল বলিউডের আর এক বঙ্গ-কন্যার সাজের কথা মনে পড়তে বাধ্য। রানি মুখোপাধ্যায়েরএই বেশটিই দেখে নেওয়া যাক। ঔজ্জ্বল্য যেমন, তেমনই রয়েছে আভিজাত্য। উৎসবের সন্ধ্যায় এমন সাদা আর সোনালির লিনেন-সাজ ফুটিয়ে করে তুলতে পারে উপস্থিতি। পুজোর সময়ে সোনার গয়না পরার পরিকল্পনা থাকলে এমন একটি শাড়ির জুড়ি নেই।
সাদায় যেমন উজ্জ্বল করে তোলা যায় সাজ, তেমন স্নিগ্ধও করা সম্ভব। বলিউডের আর এক বঙ্গ-কন্যার পছন্দ সে কথাই বলছে। পুজোর সকাল যদি বৃষ্টিভেজা হয়, তবে এমন হাল্কা শিফন দিব্যি সঙ্গ দিতে পারে। কঙ্কনা সেনশর্মার ব্লাউজের পছন্দও চোখে পড়ার মতো। যখন নানা-রং মিলিয়ে সাজের চলই বেশি, তখন অভিনেত্রী সাবেক ছন্দে ফিরে গিয়েছেন। সাদার উপর ফুলের ছাপ দেওয়া শাড়ির সঙ্গে ফিরিয়ে এনেছেন চিরাচরিত সাদা ব্লাউজ। পুজোর দিনে এমন সাজফিরিয়ে আনতে পারে সে কালের গন্ধ।
ভারতীয় পোশাকে সব সময়ে স্বচ্ছন্দ তিনি। সে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকুন বা না থাকুন। এক রঙা সাবেক স্বাদের শাড়ির সঙ্গে হাল ফ্যাশনের ব্লক প্রিন্ট করা ব্লাউজ নতুনত্ব আনতে পারে পুজোর সাজেও। শিল্পা শেট্টির মতো সাদা শাড়ি না হোক, কোনও অতি উজ্জ্বল রঙে সরু পাড়ের শিফন শাড়িতেওপুজোর একটি দিন নিজের সাজে আনা যায় বলিউডের আমেজ।
আরও উজ্জ্বল সাজ পছন্দ? তবে এক বার দেখতেই হবে পোশাক-শিল্পী মাসাবা গুপ্তার সাজ। ভারী সিল্ক। তার উপর গাঢ় রং। সঙ্গে চওড়া পাড়। তবু যেন ছিমছাম তিনি। গলার রুপোর চোকার থেকে কানের ভারী দুল, কোনও কিছুতেই চাপা পড়ছে না তাঁর ব্যক্তিত্ব। বরং আরও দ়ৃঢ় করে তুলছে উপস্থিতি। এমন সাজও দিব্যি মানানসই পুজোর সান্ধ্য আড্ডায়।
ঝলমলে শাড়ি পরলেও স্নিগ্ধতা থাকতে পারে সাজে। এ কথা কখনও ভুলতে দেন না মাধুরী দীক্ষিত। তাঁর এক রঙের শিফন সে কথা আবারও মনে করাল। চিরাচরিত পোশাকের বলিউডি চমক যেন একেই বলে!
বলি-মেজাজের সাজ হবে আর তাতে আলিয়ার কোনও পরামর্শ নেওয়া হবে না, এমনও কী হতে পারে! অতি পরিচিত মেজাজের জর্জেটও যে অন্য রকম দেখাতে পারে ব্লাউজের গুণে, আবারও মনে করাবে আলিয়ার সাজ। ভারী কাজ করা শাড়ির সঙ্গে খোলামেলা ব্লাউজ এ বার পুজোর সাজে আনুক অধরা জেল্লা।