পুজো প্রায় চলেই এল। কেনাকাটা করার আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই দেরি না করে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে পড়লেন ইশা সাহা। সঙ্গী হল ‘আনন্দবাজার অনলাইন’।
ওয়েব সিরিজ মুক্তি, ছবির প্রচার, ডাবিং— সব নিয়ে বেজায় ব্যস্ত ইশা। তাই এত দিন শপিং করার সময় বার করতে পারেননি তিনি। তাই কেনাকাটা সারতে পৌঁছে গেলেন সিমা আর্ট গ্যালারি। সেখানে চলছে ‘সিমা আর্ট ইন লাইফ’ প্রদর্শনী। এক ছাদের নীচে অনেক কিছু পেয়ে গেলেন নায়িকা।
প্রথমেই তাঁর চোখ টানল একটি কালো চান্দেরী শাড়ি। কালোর উপর রুপোলি জরির হাল্কা কারুকাজ করা শাড়িটি দেখেই নিয়ে নিলেন ইশা।
কালোর পাশাপাশি হাল্কা রংও দারুণ পছন্দ ইশার। প্রাকৃতিক ভাবে গাছের ফুল-পাতা থেকে রং করা কিছু হাতে তৈরি শাড়ির দিকে এগিয়ে গেলেন ইশা। এই সংগ্রহের প্রত্যেকটা শাড়িই পছন্দ হয়েছে তাঁর। কোনটা নেবেন তা নিয়ে অনেক ক্ষণ চলল বিভ্রান্তি। তারপর শেষমেশ একটি ঘিয়ে রঙের শাড়ি বেছে নিলেন তিনি।
চান্দেরী, সিল্কের পর সুতির শাড়ি কেনার পালা। ইশা এগিয়ে গেলে ডিজাইনার পরমা ঘোষের সংগ্রহের দিকে। উত্তর কলকাতার মানচিত্র আঁকা একটি শাড়ি তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু তারপর চোখ পড়ল ‘দেবী’ ছবির পোস্টারের মতো নকশা করা শাড়িটার উপর। বেছে নিলেন সেটাই।
শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ না হলে চলবে কী করে? তাই একই জায়গা থেকে বেছে নিলেন একটু দুর্গার মুখ কারুকাজ করা ব্লাউজও।
যদিও পুজোর কয়েক দিন শাড়ি পরাই পছন্দ করেন ইশা, তা-ও কিছু কুর্তা কিনবেন বলে ঠিক করলেন নায়িকা। ডিজাইনার পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রহ থেকে একটি জামদানি কাজ করা নীল কুর্তা বেছ নিলেন তিনি।
নানা রঙের বেনারসী স্টোল একসঙ্গে দেখে দারুণ খুশি হলেন নায়িকা। তিনি বললেন, তাঁর নিজেরও বেনারসী স্টোলের সংগ্রহ নেহাত মন্দ নয়। অনেক জায়গা থেকে ঘুরে ঘুরে কিনেছেন তিনি। গল্প করতে করতেই ইশা একটি কাঁচা হলুদ রঙের স্টোল তুলে নিলেন।
উৎসবের সাজের সঙ্গে মানানসই ব্যাগও প্রয়োজন। তাই পোশাকের পর ব্যাগের সম্ভার দেখতে চলে গেলেন ইশা। নানা রঙের কারুকাজ করা বটুয়া নজর টানল তাঁর। গোলাপি না বেজ— কোন রঙের বটুয়া নেবেন ঠিক করতে না পেরে কিনে ফেললেন দু’টিই।
এই প্রদর্শনীতে সাজ-পোশাকের পাশাপাশি পাওয়া যায় নানা রকম ঘর সাজানোর সামগ্রীও। যার মধ্যে অনেক কিছুই আর পাঁচটা দোকানে সহজে মেলে না। যেমন রাজস্থানী এই সিন্দুকটি। রং-বেরঙের এই পালকির মতো দেখতে বাক্সটি আদপে নাকি স্ত্রীধন রাখার সিন্দুক। মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে এতে করে সঙ্গে তাঁর যাবতীয় জিনিস নিয়ে যেত। এই অভিনব জিনিস দেখে এগিয়ে গেলেন ইশা। একটু অন্য ভাবে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন নায়িকা। তাই অনেক ক্ষণ ধরে খুঁটিয়ে দেখলেন সিন্দুকটি।
গয়না ছাড়া কি পুজোর কেনাকাটা শেষ হয়? তাই প্রত্যেকটা পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না কিনতে চলে গেলেন নায়িকা। রূপোর গয়না ছাড়াও কিছু ঝুটো গয়না পরে দেখলেন। পছন্দসই গয়না কিনে তবেই কেনাকাটা শেষ হল তাঁর।
ছবি: শিলাদিত্য দত্ত, রূপটান শিল্পী: অভিজিৎ পল, সাজ: নীল সাহা, শাড়ি: উম্যায়রা, গয়না: আর্থামেন্টস, ভাবনা এবং পরিবেশনা: পৃথা বিশ্বাস, স্থান: সিমা আর্ট গ্যালারি