নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দেবী দুর্গা পূজিত হন চন্দ্রঘণ্টা রূপে।
এই অবতারে দেবী চণ্ডিকা, চামুণ্ডা এবং রণচণ্ডী নামেও পরিচিত।
দেবীর কপালে আলগা ভাবে একফালি চাঁদ লেগে থাকে। তার থেকেই তিনি চন্দ্রঘণ্টা। কারণ চাঁদ যেন এখানে ঘণ্টার মতো ঝুলন্ত।
দেবীর তৃতীয় চক্ষু সর্বদা উন্মীলিত। ভক্তদের সুখ, সমৃদ্ধি ও বরাভয়ে আশীর্বাদ করা এই দেবীর আর এক রূপ রণোদ্য়ত।
দেবী চন্দ্রঘণ্টা দশভুজা। ত্রিশূল, গদা, তলোয়ারের মতো অস্ত্র ছাড়াও তাঁর হাতে থাকে পদ্মফুল। আর দু’টি হাতে ভক্তদের জন্য শোভা পায় অভয়মুদ্রা।
কোথাও দেবী সিংহের উপর আসীন। কোথাও আবার তাঁর বাহন বাঘ। তিনি একইসঙ্গে সাহস ও শান্তির প্রতীক।
বাঙালির শারদোৎসবে দুর্গার যে রূপ পূজিত হয়, তা মূলত দেবী চন্দ্রঘণ্টার- যিনি একাধারে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেন।
চন্দ্রঘণ্টার পাশে মহাদেব পূজিত হন চন্দ্রেশ্বর রূপে।
ভক্তদের কাছে বারাণসীর চন্দ্রঘণ্টা দেবীর মন্দিরের স্থানমাহাত্ম্য গভীর। নবরাত্রি উপলক্ষে এখানে উপচে পড়ে ভক্ত সমাগম।
ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী চন্দ্রঘণ্টার পুজো এবং চিত্রকূপে স্নান করলে সব পাপ মুছে যায়।