দেবসেনাপতি কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাঁর মা, অর্থাৎ স্কন্দমাতা। এই পরিচয়েই দেবী দুর্গা পূজিত হন নবরাত্রির পঞ্চম দিনে।
চতুর্ভুজা দেবী সিংহবাহিনী। দু’হাতে তিনি পদ্মফুল ধরে থাকেন। বাকি দুই হাতের একটিতে বরাভয় শোভা পায় পুণ্যার্থীদের জন্য, অন্য হাতে ধরে রাখেন পুত্র কার্তিককে।
দেবীর কোলে থাকেন ষড়ানন কার্তিক। দুর্গার অন্য কোনও সন্তান অবশ্য এই রূপে দেবীর সঙ্গে থাকেন না। এখানে তিনি শুধুই স্কন্দমাতা।
বাহন সিংহের উপরে পদ্মের আসনে বসেন দেবী। তাই, এই রূপে তাঁর আর এক নাম পদ্মাসনা।
ভক্তদের সুখ-সমৃদ্ধি, ধনসম্পদে পরিপূর্ণ করে তোলেন দেবী স্কন্দমাতা।
কথিত, দেবীকে ভক্তিতে তুষ্ট করতে পারলে নিরক্ষর ভক্তও জ্ঞানের সাগর লাভ করেন।
এই রূপে দেবী দুর্গাকে পুজো করার একটি বিশেষত্ব আছে।
সেই বিশেষত্ব হল, স্কন্দমাতার আরাধনা করলে একইসঙ্গে কার্তিকেরও পুজো করা হয়।
ফলে একইসঙ্গে দেবী দুর্গা ও দেবসেনাপতি কার্তিকের আশীর্বাদ লাভ করেন ভক্তরা।
বারাণসীর জৈতপুরায় স্কন্দমাতার মন্দিরে প্রতি বছর নবরাত্রি উপলক্ষে অগণিত ভক্ত সমবেত হন।