পুজো আসতে আর কয়েকটা মোটে দিন। অন্য বছরগুলোর মতো আনন্দ করা না গেলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে একটু আধটু ঘুরতে কমবেশি অনেকেই বেরোবেন নিশ্চয়ই। পুজোর শপিংও শেষের দিকে। ঠিক এই সময়টাতেই প্ল্যান করার- কোন পোশাকের সঙ্গে কোন গয়নাটা পরবেন।
ষষ্ঠী থেকে দশমী কোন পোশাকের সঙ্গে কোন গয়নায় সাজিয়ে তুলবেন নিজেকে? সোনা নাকি রুপো? নাকি অক্সিডাইজড গয়না? জানিয়ে রাখি, সোনার গয়না কিন্তু এ বছর ফ্যাশনে ইন। বলি থেকে টলি, বেশির ভাগ নায়িকারাই এ বছর সাজছেন সোনার সাজে।
কী ভাবছেন? সোনার গয়না মানেই বড্ড জমকালো কিংবা হেভি ওয়েট সাজগোজ? একেবারেই নয়। বেশি ভারী গয়না যদি হয় না-পসন্দ, বেছে নিন লাইট ওয়েট গয়না। সাবেক নকশার পাশাপাশ এখন আধুনিক হালকা নকশার সোনার গয়নাও পাওয়া যায় বাজারে।
ষষ্ঠীতে বেশির ভাগেরই পছন্দ হাল্কা সাজগোজ। হালফ্যাশনের সোনার গয়না বাঙালি সাজ বা পশ্চিমি পোশাক, সবের সঙ্গেই পরা যায়। ষষ্ঠীতে বেছে নিন হালকা ডিজাইনের কানের দুল কিংবা লকেট-সহ সরু সোনার চেন। সঙ্গে লাইট ওয়েট ব্রেসলেট আর মানানসই একটা স্লিং ব্যাগ। আপনার সাজ কমপ্লিট!
সপ্তমীর সাজে থাকতেই পারে নজরকাড়া সোনার বালা কিংবা ব্রেসলেট। এথনিক কুর্তি কিংবা সালোয়ার সুটের সঙ্গে হাতে গলিয়ে নিন জমকালো ব্রেসলেট। কানে থাকুক ছোট্ট দুল। দুল ভালবাসলে বড় মাপের জমকালো ঝুমকো কিংবা কানবালাও পরতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে এক হাত খালি রেখে অন্য হাতে ঘড়ি পড়ুন।
অষ্টমী মানেই সকালের অঞ্জলি। সকালে লাল ঢাকাইয়ের সঙ্গে গলায় থাকুক সীতাহার বা নেকলেস। হাতের বালাতেও থাক সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। সন্ধ্যের সাজে শাড়ি কিংবা কুর্তি-পালাজোর সঙ্গে বরং পরুন কয়েক গাছা ডিজাইনার সোনার চুড়ি। বড় আকারের ‘স্টেটমেন্ট ইয়ার রিং’। হিল পরতে স্বচ্ছন্দ হলে বেছে নিন স্টিলেটো।
নবমী মানেই এক দিকে পুজো শেষ হয়ে আসার মনখারাপ, তেমনই শেষবেলায় পুজোর সব নির্যাস টুকু গায়ে মেখে নেওয়ার চেষ্টা। এই দিনে অনেকেই পশ্চিমি সাজ পছন্দ করেন। বিকেলের পার্টিতে ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে থাক চওড়া ব্রেসলেট। গলায় হালকা নকশার লকেট চেন। অথবা হাত খালি রেখে গলায় পরুন স্টেটমেন্ট নেকপিস। নিন ডিজাইনার ক্লাচ ব্যাগ। ব্যস!
দশমীতে মনে বিষাদের সুর। একটা বছরের মতো মাকে বিদায় জানানোর সময়ে না সাজলে কি হয়? সিঁদুর খেলায় মাতুন লাল পাড় শাড়ি আর হাল্কা সোনার গয়নায়। গলায় অল্প নকশার একটা হার, কানে ছোট্ট দুল এবং হাতে বালা কিংবা কয়েক গাছা চুড়ি। কপালে একটা লাল টিপ পরতে ভুলবেন না কিন্তু।
তবে সোনার গয়নায় সাজার সময়ে খেয়াল রাখুন সাজে যেন একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। বড়, ভারী কানের দুলের সঙ্গে কখনওই ভারী ডিজাইনের নেকলেস ভাল দেখাবে না। আবার এক হাতে চওড়া ব্রেসলেট কিংবা বালা পরলে অন্য হাত খালিই রাখুন। বড়জোর একটা ঘড়ি চলতে পারে। সোনার সাজে এ বার পুজোয় ঝলমলিয়ে উঠছেন আপনিই। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।