আনন্দবাজার ডিজিটালের পুজো শুট। কিন্তু তিনি নেই। শর্বরী দত্ত। “আজ বার বার শর্বরী-দির কথা মনে হচ্ছে। ধুতির ভাঁজ থেকে পাঞ্জাবির কাজ- সব বিষয়ে এত নিখুঁত ছিলেন দিদি…” কথাগুলো বলতে বলতেই অনির্বাণ পরে নিলেন হলদে ঘন সুতোর কাজের পাঞ্জাবি। আর পোড়া লাল ধুতি।
‘শূন্য’-র পক্ষ থেকে রেশমি বাগচী শুটিং ফ্লোর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনিই অনির্বাণকে পরিয়ে দিলেন ডিপ নেক আচকান। তাতে এসেছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। রেশমি বুঝিয়ে দিলেন, “আচকানের কলার ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্যাব্রিকে আনা হয়েছে ক্যানভাসের স্ট্রোক।” ডেনিমের উপরে বুক খোলা আচকান আর ডার্ক গ্লাস। অনির্বাণ পলকে ‘স্টার’ হয়ে উঠলেন!
রেশমি জানালেন অনির্বাণ যে কুর্তাই পরুন, ‘শূন্য’তে ভিড় জমে যায় ঠিক সেই পোশাক কেনার জন্য। পোশাক নিয়ে তেমন ভাবনাচিন্তা না করলেও যে কোনও পোশাকে অনির্বাণ ঠিক নেশার আলো ছড়িয়ে দিতে জানেন।
পুজোয় আসছে নতুন ছবি ‘ড্রাকুলা স্যর’। কথায় কথায় রেশমিকে বললেন, “ আমায় একটা ড্রাকুলার মাস্ক দিতে পারেন? ”
অনির্বাণের কথায়, “ এই ছবিটা করতে সবচেয়ে বেশি মানসিক স্ট্রেসের সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের তো বাইরে থেকে নেওয়ার কিছু নেই। নিজেদের মধ্যে থেকেই খুঁড়ে বার করতে হয়। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে- ‘ইয়ে ক্যারেক্টারস যিতনা দেতা হ্যায়, উসসে জাদা লেতা হ্যায় আপ সে!’ ড্রাকুলা স্যারের চরিত্রটাও তেমন।”
রবি ঠাকুরের ছোট গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘ডিটেকটিভ’-এ মহিমচন্দ্রের ভুমিকায় অনির্বাণ। ফিরছেন ব্যোমকেশের ছয় নম্বর সিজন নিয়েও। এ বার ‘মগ্ন-মৈনাক’ উপন্যাস নিয়ে তৈরি হবে এই সিরিজ। পরিচালক সৌমিক হালদার।
বন্ধ গলা পরে নিলেন অনির্বাণ। সূক্ষ্ম কাঁথার কাজ করা- অষ্টমীর পোশাক যেন! যথারীতি মুগ্ধ করার মতো। সাধে কি তাঁকে নিয়ে তোলপাড় টালিগঞ্জ? মেয়েদের বেড়ে যাচ্ছে হার্টবিট!
তাঁর অষ্টমী যদিও মেদিনীপুরের বিধাননগর-শরৎপল্লিতে। “ আজও ওখানে যা কিছু পুরনো, সেটাই আমি..” মনে করিয়ে দিলেন অনির্বাণ। পোশাক সৌজন্যে: শূন্য; মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলিং: সঞ্জু বিজয়; স্থান: চৌধুরী হাউস।