ধনে-মানে-সম্পদে ভরে উঠুক সংসার। এই কামনা নিয়েই ধনতেরাসে দেবী লক্ষ্মীর আবাহন। সমৃদ্ধির চিহ্ন হিসেবে ঘরে সোনা বা রুপোর আগমন। আর? বিশেষ দিনে সাজে-সজ্জায় লক্ষ্মীমন্ত হয়ে ওঠা। মিমি, নুসরত কিংবা প্রিয়াঙ্কা— সকলের। আপনার সাজেও কি তাঁদেরই ছোঁয়া থাকবে?
পুজোর দিন মানেই মিমি চক্রবর্তী সনাতনী। ধনতেরাসই বা ব্যতিক্রম হবে কেন? কন্যের পরনে লাল টুকটুকে সিল্ক। মাথা থেকে পা সোনার গয়নায় মোড়া। টিকলি, ঝুমকো, হার, হাতের বালা— কিচ্ছু বাকি নেই।
আধুনিকতা আর আভিজাত্যের মিলমিশ চাই? মধুমিতা সরকারের সাজ তা হলে আপনারই উপযুক্ত। সোনা রং পাশ্চাত্য পোশাক। উন্মুক্ত বক্ষ বিভাজিকা। সেখানেই চোখ টানবে সাতনরি হারের আধুনিক রূপ। গলা ভরাট ভারী হারে। কানে সোনা নাই বা রইল তাই। বদলে হাত জুড়ে মোটা চুড়ি, বালা। রূপের আগুন তাতেই দ্বিগুণ!
ফ্যাশনও চাই, সাবেকিয়ানাও? ঋত্বিকা সেনের মতো কিছু ভাববেন নাকি? গোলাপি ঘাঘরা-চোলি, তাতে সোনালি জরির জমাট কাজ। হাতে মটরদানা চুড়ি, কপালে চওড়া টিকলি। কানে ঝুমকোর দোলা। এ-ই তো যথেষ্ট...!
প্রচণ্ড আধুনিকা। দমকা হাওয়ার গতিতে চলেন। দেবলীনা কুমারের সাজ-ধাঁচ আপন করে নিন। সিল্ক শাড়ির সঙ্গে মানানসই হাতকাটা ব্লাউজ। গলায়, হাতে, কানে ধাতব গয়না। খোলা চুল, কপালে ছোট্ট টিপ। আজকের লক্ষ্মীরা তো এমনই!
কে বলেছে ধনতেরাস মানে কেবল সাবেকিয়ানা? ধুর ধুর! একুশ শতকে আগল ভেঙে সব একাকার। প্রিয়াঙ্কা সরকার তাই নির্দ্বিধায় ঘন নীল কুর্তিতে। সঙ্গে একই রঙের পালাজো। ডান কব্জিতে সোনার ঘড়ি। কানে ভারী জড়োয়ার ঝুমকো। যাকে বলে চূড়ান্ত ফ্যাশনিস্তা...
ঋতাভরী... পরম সুন্দরী! কালো জমিনের বেনারসিতে ঝকমকে চওড়া লাল জরি পাড়। গলা জোড়া সোনার হার। কানে দুল। খোলা চুল। দুই ভুরুর মাঝে লাল টিপ। ‘লছমী হো তো অ্যায়সি’!
সুদীপা চট্টোপাধ্যায় মানেই খোঁপায় ফুলের মালা, গা ভরা গয়না, ম্যাচিং শাড়ি-ব্লাউজে গিন্নিবান্নি। এমনটা সাজবেন নাকি? ক্ষতি কী?
সাজের কথা শেষ হয়েও শেষ হয় না নুসরত জাহানকে ছাড়া! ওঁর মতো ‘বোহেমিয়ান’ সাজার সাহস আছে? তা হলে বেছে নিন রানি রঙা কুর্তি আর জ্যাকেট। পোশাক জুড়ে মণি-মুক্তো গাঁথা। কানে ফুটন্ত গোলাপের মতো রত্নখচিত কানের দুল। মাথায় হেয়ার ব্যান্ডের মতো চওড়া রত্নখচিত টায়রা। এক গোছা চুল এসে পড়ুক গালে, কপালে। গোধূলি-আলোয় আপনিই অনন্যা!