চলছে ছট পুজো। গত ২৮ অক্টোবর স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে অবাঙালি হিন্দুদের এই উৎসব।
পরের দিন ছিল খরনা। অর্থাৎ শুদ্ধিকরণ। সন্ধ্যায় প্রসাদ হিসেবে তৈরি করা হয় গুড়ের ক্ষীর। সারা দিনের উপোস ভাঙা হয় এই প্রসাদ খেয়ে।
রবিবার ছিল অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য দান। আর সোমবার সূর্যোদয়ের সময় সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন। সঙ্গে দান করা হয় ঠেকুয়া, কলা, মরসুমি ফল, আখ ইত্যাদি।
এই উৎসবে কোনও মূর্তি পুজো হয় না। এমনকি শুধু মহিলারা নন, সন্তান ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় উপোস করেন পুরুষেরাও।
জানেন কি, কেন করা হয় এই ছট পুজো? কে বা এই ছঠি মাইয়া? কেন করা হয় তাঁর পুজো?
আজকাল বাংলাতেও বেশ সমারোহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। এই ব্রতে সূর্যদেব পুজিত হন।
শাস্ত্র মতে সূর্যদেবের মধ্যেই নিহিত থাকে প্রাণশক্তি। এ ছাড়াও তার ভীষণ তেজে ধ্বংস হয় রোগ জীবাণু। তাই সূর্যদেবের প্রভাবে পরিবারের লোকজনকে সুস্থ রাখতেই এই পুজো করা হয়।
সূর্যদেবের সঙ্গে সঙ্গে পূজিতা হন ছঠি মাইয়াও। তাঁকে আবার ছট লক্ষ্মী বলা হয়। মতপার্থক্যে, ছঠি মাইয়া মা ষষ্ঠীর রূপ, আবার সূর্যদেবের বোনও বটে। তাই পুজো করা হয় সূর্যদেবের। ষষ্ঠী পুজোর দিনে সন্ধ্যায় দান করা হয় সান্ধ্য অর্ঘ্য।
কথিত, রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয় করে ফিরে এসে পুজো করেন কুলদেবতা সূর্যের। সেই পুজো নাকি হয়েছিল ছট পুজোর সময়েই।
কার্তিক শুক্লা চর্তুথী থেকে কার্তিক শুক্লা সপ্তমী অবধি চলে এই পুজো। এই ব্রতে রয়েছে টানা ৩৬ ঘণ্টা উপোসের উপাচারও। নারী পুরুষ নির্বিশেষে পালন করেন এই ব্রত।