থিম বনাম সাবেকির চোখ ধাঁধানো পুজোর ভিড় বাংলা জুড়ে। তারই মাঝে নিজের বাড়ির পুজোর ব্যাপারটাই আলাদা। অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের কাছেও বিষয়টি ঠিক এমনই। শ্বশুরবাড়ির পুজো হলেও, তা নিজের বাড়ির থেকে কম কোথায়! আর এই বছরের পুজোটা যেন অভিনেত্রীর কাছে একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ।
পুজোর বয়স ১০। এতদিন অফিসে পুজো হলেও এই প্রথম বার মাকে নিজেদের ফ্ল্যাটে বরণ করে আনা। পুজোর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেননি অভিনেত্রী শ্রুতি দাস এবং তাঁর স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার।
টানা চোখের ডাকাই সাজের মায়ের শ্বেতশুভ্র বেশ। ফুল, মালা এবং অলঙ্কার দিয়ে পরম যত্নেই মাকে সাজিয়েছেন তাঁরা।
পুজোর দিন অভিনেত্রীর সাজেও ছিল অভিজাত্যের ছোঁয়া। লাল বেনারসিতে তাঁর থেকেও চোখ সরানো দায়! স্বল্প সাজেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপরূপা।
অন্যদিকে স্বর্ণেন্দুর পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। স্ত্রীর সঙ্গে লাল-সাদার রং মিলান্তিতে দারুণ মানিয়েছে পরিচালককে।
তিথি মেনেই শুক্রবার পালিত হল ফলবলি থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি এবং নবমীর সন্ধিপুজো, সবটাই। ভোরের দিকে মা দুর্গার অঞ্জলি সেরে ১০৮টি পদ্ম অর্পণ করলেন অভিনেত্রী।
শ্বশুরবাড়ির ফ্ল্যাটে প্রথম দুর্গাপুজো। নিজের হাতেই সবটা সামলাতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। মজা ছলেই স্বামী স্বর্ণেন্দু জানান, তাঁর পুজোর কাজে অন্য কারও হস্তক্ষেপ একেবারেই না-পসন্দ নায়িকার।
তবে খাওয়া দাওয়ার বিষয়টা সবটাই হয় স্বর্ণেন্দুর পছন্দমতো। অভিনেত্রী নিজে হাতে পরিবেশন করে সকলকে খাওয়াতে ভালবাসেন।
অষ্টমীর ভোগে যেমন ছিল লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম। এমনকি মেনু থেকে বাদ পড়েনি মিষ্টিও।
আজ, শনিবার দশমী। শ্রুতি জানান, মায়ের ভাসানের দিন অর্থাৎ দশমী মানেই খাসির মাংস এবং ভাত পাতে থাকবেই!