কেউ জড়িয়েছেন লাল পেড়ে সাদা। আবার কারও পরনে জমকালো সোনালি শাড়ি। তবে দশমীতে সেই সাজ যেন আরও অপরূপ হয়ে উঠেছে সিঁদুরের ছোঁয়ায়। এদিন একেবারে যেন আমবাঙালি হিসেবেই ধরা দিলেন রানি মুখোপাধ্যায় এবং কাজলরা। গালে এবং সিঁথিতে লেপটে সিঁদুর। দেবী বরণের পরেই ঢাকের তালে সিঁদুর খেলায় মাতলেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। আনন্দবাজার অনলাইনের পাতায় রইল সেই ছবি।
মুম্বইয়ের দুর্গাপুজো মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রানি এবং কাজলদের নর্থ বম্বের সর্বজনীন দুর্গোৎসব। এ দিন তাঁরা কোনও তারকা নন। একেবারে ঘরের মেয়ে হয়েই ধরা দেন ‘মুখার্জি সিস্টার্স’রা। ব্যস্ততা সরিয়ে রেখে এই কয়েকদিন আনন্দ-উৎসবে এসে যোগ দেন বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারাও।
তবে দশমীর চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম। আনন্দ তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে মায়ের বিদায়ের মুহূর্ত। চোখে জল নিয়েই এ দিন চলল মাকে বরণের পর্ব। বরণশেষেই সিঁদুরখেলার পালা! কষ্ট নিয়েই একই ছাদের তলায় একে অপরের সঙ্গে সিঁদুরখেলা এবং কোলাকুলিতে মেতে উঠলেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই!
এদিন চওড়া লাল পাড় সাদা শাড়িতে নজর কাড়লেন কাজল। হাতে শাঁখা-পলা। কপালে ছোট্ট টিপ। খোলা চুলে একেবারে অপরূপা তিনি!
এ দিন কাজলের সাজে কোনও জাঁকজমক ছিল না বললেই চলে। নেই কোনও রূপটান। তাতেই সাধারণের ভিড়ে নজর কাড়লেন তিনি। সকলের সঙ্গেই খোশমেজাজে দেবীবরণ এবং সিঁদুরখেলায় মাতলেন অভিনেত্রী।
তবে এ দিন একটুর জন্য বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন অভিনেত্রী। মায়ের বরণ এবং সিঁদুরখেলার মাঝেই বেসামাল কাজল! আসলে দেবীবরণের জন্য বেঁধে দেওয়া অস্থায়ী সিঁড়ি বেয়ে নামছিলেন তিনি। মন ছিল হাতে ধরে থাকা মোবাইলের দিকে। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি! যদিও পা ফস্কে গেলেও টাল সামলে নিতে পেরেছিলেন কাজল। তবে নিজেকে সামাল দিলেও হাতে থাকা মোবাইলটি পড়ল সোজা নীচে!
কাজলের পাশাপাশি এ দিন হাসিমুখে দেবীবরণ এবং মিষ্টিমুখ করতে দেখা যায় রানিকে। বরণের থালা হাতে নিয়ে একগাল চওড়া হাসি। যেন একেবারে ঘরের মেয়ে তিনি।
এদিন অভিনেত্রীর পরনে ছিল জমকালো সোনালি রঙের শাড়ি। খুব সাধারণ আটপৌরে করেই শাড়ি পরেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে কানে সোনার দুল এবং গলায় লম্বা সোনার হার। সাজেও রাজকীয়তার ছোঁয়া।
তবে যতই রাজকীয় সাজ হোক, সিঁদুরের ছোঁয়ায় যেন আরও অপরূপা তিনি। বরণ এবং সিঁদুরখেলা শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলিতে মাতলেন রানি।
এদিন সাবেকি সাজেই ধরা দিলেন সদ্য সাংসদ হওয়া সকলের প্রিয় ‘অনুপমা’ ওরফে রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। গলা জুড়ে চওড়া হার। কানে দুল। সিঁদুরে রাঙা সিঁথি। খোলা চুল এবং সিঁদুরে রাঙা গালেই নজর কাড়লেন বঙ্গতনয়া।
এ দিন সুমনা চক্রবর্তীরও বেশে ছিল স্বল্প সাজ। পরিমিত মেকআপে তাঁর থেকেও যেন চোখ সরানো দায়! অন্য দিকে স্বামী তথা অভিনেতা বৎসল শেঠের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঈশিতা দত্তও। একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শাড়ি-পাঞ্জাবীতে তারকা-জুটির সাজও ছিল চোখে পড়ার মতো।