ছোটবেলা থেকেই কালী ভক্ত শ্রুতি। একমাথা খোলা চুল, মুখের আদল অবিকল যেন মা ভবতারিণী। আরতির সময় এক অদ্ভুত অনুভূতি তাঁকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই ঘুরে ফিরে মা কালীর চরিত্রে অভিনয়ই তাঁকে টানে বেশি। রূপটান শিল্পী মুক্তি যখন মা ভবতারিণী হিসাবে তাঁকে সাজানোর প্রস্তাব দেন, শ্রুতির মন আনন্দে নেচে ওঠে। মা ভবতারিণী শ্রুতির স্বপ্নে আসেন। মার সঙ্গে স্বপ্নের কথা ভাগ করে নেন। আয়নায় নিজেকে মা ভবতারিণীর রূপে দেখে চমকে উঠেছিলেন। এখনও সেই অনুভূতির কথা ভাবলে কাঁটা দেয়। মা ভবতারিণীর রূপ থেকে আবার নিজের রূপে ফিরে আসার পর হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন কিছুক্ষণ।
কিছুদিন আগেই এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন। একটা কালো মেয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। তার হাতে রক্তমাখা খড়্গ। শ্রুতির কাছে এসে সেই খড়্গটা তার হাতে দিয়ে সেটাকে গঙ্গা জলে ফেলে দিতে বলে কোথায় যেন মিলিয়ে যায় সেই মেয়েটি। সেদিনই শ্রুতি মনে মনে মানত করেন, এ বার পুজো দেবেন খড়্গ দিয়ে। কালীপুজোয় কাটোয়ার ক্ষেপি মার কাছে যাবেন। সেখানেই সারাদিন কাটাবেন। খাঁড়া দিয়ে মায়ের পুজো দেবেন।
মা ভবতারিণী রূপে: শ্রুতি দাস
শিব: সুপ্রিয়
রূপটান শিল্পী: মুক্তি রায়
কেশসজ্জা: স্বরূপ দাস
ভিডিয়ো: মুক্তি রায়, প্রীতম দাস
পোশাক ও গয়না: সঞ্জীব পাল, সীদ্ধেশ
স্থান: ১/২ স্টুডিয়ো
প্রতিবেদন: শ্যামশ্রী সাহা
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।