সামনেই ধনতেরস। সোনার গয়না কিনতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমছে দোকানে দোকানে। তিনি অবশ্য সারা বছরই মজে থাকেন গয়না-প্রেমে। আর তা নিয়ে বিতর্কও বাধে যখন-তখন। ধনলক্ষ্মীর আরাধনার এই মরসুমেও ছাড় পেলেন না সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দিন দুয়েক হল তাঁর এক পোস্ট ঘিরে এখনও কটাক্ষের বন্যায় ভাসছে নেটপাড়া।
প্রতি বারের মতোই এ বারও সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো হয়েছে সুদীপার বাড়িতে। সেই উপলক্ষে নিজের নানা রকম সাজের ছবি নিয়মিতই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা।উদ্দেশ্য ছিল, নিজের বুটিকের বিভিন্ন জিনিসের দিকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ। নবমীর সাজের শাড়ি ও গয়না সে ভাবেই তিনি ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন নিজের ক্রেতাদের সঙ্গে। পোস্টে লিখেছিলেন যে যেহেতু তাঁর নবমী লুকটি খুব পছন্দ করেছিলেন সবাই, তাই তিনি সকলের জন্য নিয়ে এসেছেন একই রকম তসর বেনারসি শাড়ি এবং ব্রোঞ্জ ও তামার উপর সোনার পালিশ করা দু’টি হার। আর সেখানেই একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন সুদীপা। নিজের নবমীর সাজের ওই ছবির পোস্টে তিনি এ-ও লেখেন- ছবিতে তাঁর গলায় থাকা নেকলেসটি সোনার এবং সেটি অত্যন্ত দামি। তাই পরিবর্তে তাঁর বুটিকে তৈরি হারটি একই রকম দেখতে, দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীতে তৈরি। ব্যস, আর যায় কোথায়! নিমেষে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষের বন্যা। কেউ বলেছেন, সুদীপার বুটিকের জিনিসপত্র অতিরিক্ত দামি।
কেউ বা পালটা ব্যঙ্গ করেছেন সোনার গয়না নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে। দামি গয়না নিয়ে সুদীপার অহঙ্কারী মানসিকতা পছন্দ করেননি অনেকেই। কিছু দিন আগেই এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীকে নিয়ে রসিকতা করতে গিয়েও বিতর্ক বাধিয়েছিলেন সুদীপা। তার জের কাটতে না কাটতেই ফের নতুন পোস্টে ঘিরে ফের জেরবার অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।