অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়
মিছিলে আছি, পুজোয় আছি, কিন্তু উৎসবে নেই- লিখলেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়
ছোটবেলায় ক্লাস সেভেন পর্যন্ত কেটেছে কলকাতায়। মাঝের সময়টায় রাজস্থানে থাকতাম মায়ের চাকরি সূত্রে। তার পরে কলেজ জীবনে আবার কলকাতায় ফিরে আসি। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে পুজো হয় বলে দুর্গাপুজো আমার কাছে অনেকটাই অন্য রকম। বাড়িতে পুজোর পরিবেশ, হইহুল্লোড়, ভাইবোন– সব মিলিয়ে পুজোর মাধুর্য যেন অন্য মাত্রা নিয়ে আসে।
ছোটবেলায় একা বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি ছিল না বলে দাদা দিদিদের অপেক্ষায় থাকতাম। ওরা ওদের বন্ধুদের সঙ্গে যখন বেরোত, পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো আমরাও পিছু নিতাম। দাদা-দিদিরা বন্ধুবান্ধব নিয়ে দরজা বন্ধ করে গল্প করলে আমরা ছোটরা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম, যদি আমাদেরও একটু ঢুকতে দেয়।বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিষেধের বেড়াজাল খুলে গিয়েছে। ভাইবোনদের সঙ্গে রাত করে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, মজা-হাসি-ঠাট্টা– সব নিয়েই কেটেছে কিশোরবেলার পুজো।
এ বছর পুজোয় কলকাতার বাইরে থাকব। ফিরব প্রায় কালীপুজোর পরে। তবে এ বারের পুজো সর্বতোই আলাদা। বাড়িতে মা-মাসি কারও ইচ্ছে করেনি নতুন জামাকাপড় কিনতে। এ বছর শহর কলকাতা তথা রাজ্য ও দেশ তোলপাড় করা ঘটনার জন্য স্বভাবতই পরিবারে সকলেরই মন খারাপ। মন মেজাজ ভাল না থাকায় আমারও এ বার পুজো ঘিরে কোনও উন্মাদনা নেই। পুজোয় থাকব, মিছিলেও থাকব। উৎসবে মাততে পারব না। পুজোর উদযাপন যেমনই হোক, সব সময়ে মাথায় থাকবে সুবিচারের প্রশ্ন।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।