ইশা সাহা
পুজোর গন্ধ বা আনন্দটা কোথায় যেন চাপা পড়ে গিয়েছে। পুজোর চার দিন কী করবেন সেটাই এখনও সাজিয়ে উঠতে পারেননি ইশা সাহা। পুজোর মধ্যেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর দু-দুটো ছবি। ‘কাছের মানুষ’ এবং ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’। সকাল থেকে রাত তারই প্রচারের ব্যস্ততা তুঙ্গে। সঙ্গী তুমুল টেনশন।
‘‘এক একটা দিন যে কী ভাবে কাটছে বোঝাতে পারব না। পঞ্চমীর দিন ছবি মুক্তি পাওয়ার পর টেনশনটা রিলিজ হবে। কিন্তু টানা এক মাস যে চাপ যাচ্ছে, তার পরে পুজোর কোনও প্ল্যান করার অবস্থায় আমি নেই,’’ বলছেন অভিনেত্রী।
হাতে সময় নেই। ইশার পুজোর কেনাকাটার লিস্ট থেকে তাই শাড়ি এ বার বাদ।
‘‘এখনও কোনও শপিং হয় নি। জানি না আর করতে পারব কি না। অনলাইনই ভরসা। মাত্র ক’দিন বাকি। এখন আর শাড়িও কিনতে পারব না। পুজোয় কী পরব কিছুই ঠিক করতে পারিনি,’’ আক্ষেপ ইশার গলায়।
পঞ্চমীর দিন মুক্তি পাবে ছবি। পরের প্ল্যান করার সময় নেই, হবেও না। তাহলে পুজোর চার দিন কী ভাবে কাটবে ইশার?
নায়িকার কথায়, ‘‘প্রচুর খাব আর ঘুমাব, আপাতত এটুকুই ভেবে রেখেছি। ও হ্যাঁ, আর একটা কাজ পুজোর সময়ে করব, যেটা কেউ করে না। পুজোর ক’দিন নিয়ম করে জিমে যাব। ছবির প্রচারে ব্যস্ত থাকায় জিমে যাওয়া হয়নি অনেক দিন। নভেম্বর থেকে নতুন ছবির কাজ শুরু হচ্ছে, তার আগে ফিট হতে হবে।’’
কলকাতায় থাকবেন, অথচ এক দিনও ঠাকুর দেখবেন না?
ইশা বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে বাড়িতেই আড্ডা দিতে দারুণ লাগে। হয়তো পুজো পরিক্রমায় বেরোতে হতে পারে। তখনই ঠাকুর দেখা হয়ে যাবে। এক দিন হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে খেতেও যেতে পারি।’’
একসঙ্গে দুটো ছবির মুক্তি পুজোয়। ইশার বাবা এখন একটানা প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখতে পারেন না। তাই ছবিও দেখা হয় না তেমন। এ বার মেয়ের ছবিও কি দেখবেন না? অভিনেত্রী জানালেন, এক দিন সপরিবারে নিজের ছবি দেখতে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে।
এত ব্যস্ততার মধ্যেও ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি ভিড় করে আসে। ইশার কথায়, "এখন আর মাইকে পুজোর গান শুনতে পাই না। এখন তো সিঙ্গলস হয়। মাইকে পুজোর নতুন গান বাজছে, নতুন গানের ক্যাসেট বেরোচ্ছে, সেই সবই এখন অতীত। খুব মিস করি। একেবারে ছোটবেলায় রিকশায় দাদু-ঠাম্মার সঙ্গে বেলুড় মঠের ঠাকুর দেখতে যেতাম। এখন তা-ও আর যাওয়া হয় না।’’
হাজার ব্যস্ততার মাঝে আগের মতো যাওয়া হয় না নিউ মার্কেটে পুজোর শপিংয়েও। ইশা বলেন, ‘‘যখন স্কুল থেকে কলেজে পা রাখলাম, শপিং করতে যেতাম নিউ মার্কেটে। জিনিস নিয়ে দরাদরি, ব্যাগের সব টাকা শেষ করে ফেলা- এ রকম কত কিছুই যে মজা লুকিয়ে ছিল তার মধ্যে!’’
আর পুজোর প্রেম?
‘‘দূর! ওই পঞ্চমী থেকে দশমী চোখে চোখে দেখা ছাড়া আর কিছুই হয়নি কখনও।’’ আক্ষেপ ইশার।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।