কখনও সিঙ্গাপুর, কখনও মুম্বই। গত দু’বছর এ ভাবেই পুজো কেটেছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের।
কোভিডের কারণে গত দু’বছর পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটানো হয়নি। অবশেষে এ বছর ঋতুর দুর্গা পুজো কাটবে বাড়ির লোকের সঙ্গে।
স্বামী সঞ্জয় কাজ শেষ করে মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় আসবেন, এমনটাই ঠিক আছে এখনও। ছেলে আমেরিকায়। পুজোয় শহরে ফেরার সুযোগ নেই। তবে উৎসবের দিনগুলোয় ঋতুর সঙ্গে থাকবেন মা, ভাইয়ের পরিবারও।
লাল মারুতির সামনের সিটে ছিল পাকা জায়গা। ওখানে ঋতু ছাড়া কেউ বসতে পারবে না, এমনই নির্দেশ ছিল ছোটবেলার বন্ধু-প্রেমিক সঞ্জয়ের। সময় বদলেছে, গাড়িও বদলেছে।
ছোটবেলার সেই প্রিয় বন্ধুই এখন স্বামী। কৈশোরের সেই প্রেম বাঁধা পড়েছে দাম্পত্যে।
সঞ্জয়ের সঙ্গেই এখন সুখের ঘরকন্না ঋতুপর্ণার। গাড়ির সামনের সিটের পাকাপাকি আরোহী।
বন্ধুদের সঙ্গে সঞ্জয়ের পাশের সিটে বসে ঠাকুর দেখা, ফুচকা খাওয়া, দেরি করে বাড়ি ফিরে ‘বন্ধুর বাড়িতে আছি’ বলে বাবা-মার বকুনির হাত থেকে বাঁচা, বন্ধুদের কল্যাণে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ- এমন অজস্র রঙে রঙিন ছিল ঋতুর ছোটবেলার পুজো।
এ বছর সেই চেনা অনুভূতিগুলোকেই আবার নতুন করে ছুঁয়ে দেখবেন সঞ্জয়ের সোহাগিনী ঘরনি।
পুজোর দিনগুলোয় ডিজাইনার ইরানি মিত্রর পোশাকে সাজবেন ঋতুপর্ণা। তারই ঝলক তুলে ধরেছে আনন্দ উৎসব।
লিনেন ও থ্রেডেড সুতির মিশেলে হালকা ল্যাভেন্ডার শেডের লেয়ারড লং ড্রেস। পোশাকের অভিনবত্ব এর হাতায়। যাকে বলে ষষ্ঠীর পারফেক্ট সাজ!
লং স্কার্ট, কিন্তু এক ঝলকে যেন লেহঙ্গা। সঙ্গে হালকা রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ-টপ। সপ্তমীর সকাল বা সন্ধে এই পোশাকেই আরও রঙিন ঋতু।
পুজোয় ঋতুপর্ণার সাজের তালিকায় শাড়ি তো থাকবেই। এই সনাতনী শাড়িটিতে রয়েছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া।
তিন রকমের প্যাস্টেল শেডের সুতি, ইক্কত, সিল্ক কটনের অ্যাসিমেট্রিক শাড়ি। সঙ্গে মেহগনি হাতে বানানো গয়না। ঋতুপর্ণার অষ্টমীর ফার্স্ট লুক।
কালো শাড়িতে জারদৌসির হ্যারিকেন মোটিফের এমব্রয়ডারি। চারটি প্যানেল করা এই অভিনব নবমীর সাজে ঋতুপর্ণাই যেন দুর্গাপুজোর শো স্টপার!