Ankush Hazra

Ankush Hazra: আমার আর ঐন্দ্রিলার পায়ের তলায় সর্ষে, পুজোয় দুবাই যাওয়ার কথা ভাবছি: অঙ্কুশ

২০১৬ থেকে পরপর দুর্গাপুজোতে ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘জুলফিকার’, ‘বলো দুগ্গা মাইকি’, ‘ভিলেন’… পুজোতে মুক্তি পেলেই দেখি ছবি সফল হয়।

Advertisement

অঙ্কুশ হাজরা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ১১:১৭
Share:

ঐন্দ্রিলা এবং অঙ্কুশ।

বর্ধমানের ছেলে আমি। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল কলকাতায় পুজো কাটাচ্ছি। মফস্বলের পুজো থেকে শহরের পুজো কিছুটা হলেও আলাদা। কিন্তু পুজোর গন্ধ, অষ্টমীর সকালে নিয়ম করে অঞ্জলি দেওয়া— জায়গা বদলে গেলেও, বদলে যায়নি নিয়মগুলো। বিগত কয়েক বছরে আরও একটা নিয়ম জুড়ে গিয়েছে পুজোর সঙ্গে। ২০১৬ থেকে পরপর দুর্গাপুজোতে আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘জুলফিকার’, ‘বলো দুগ্গা মাইকি’, ‘ভিলেন’… পুজোতে মুক্তি পেলেই দেখি ছবি সফল হয়। এমন একটা মন তৈরি হয়েছে আমার।

Advertisement

গত বছরটা অন্য রকম ছিল। ছবি মুক্তির চাপ ছিল না। আমি আর ঐন্দ্রিলা শহর থেকে দূরে দুবাই চলে গিয়েছিলাম। সময় কাটিয়েছিলাম নিজেদের মতো করে। কিন্তু এ বার অল্প হলেও পরিস্থিতি বদলেছে। আবার সেই চিরাচরিত উত্তেজনা। সকালে উঠে যখন জানলার ফাঁক দিয়ে এক চিলতে আকাশ দেখি মনটা ভাল হয়ে যায়। অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করে পুজোর জন্য। অবশ্য তারও একটা কারণ আছে। পুজোর সময় এ বার ‘এফআইআর’ মুক্তি পাবে। ‘ম্যাজিক’-এর পর এই ছবি আবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। পুজোয় ঠাকুর দেখা, খাওয়াদাওয়ার সঙ্গেই ছবি দেখাও অপরিহার্য। সেই আমেজই এ বার ফিরিয়ে আনবে ‘এফআইআর’। আগে যখন পুজোতে ছবি মুক্তি পেত, আমরা সবাই মিলে প্রেক্ষাগৃহে যেতাম। মানুষের সঙ্গে কথা হত, দেখা হত। ছবি নিয়ে তাঁদের মতামত জানতাম। সে এক অন্য রকম আনন্দ! এখন সেই সব কিছুই স্মৃতি।

‘পুজোতে রোজ না হলেও দু’এক দিন তাই ডায়েট ফাঁকি দেবই!’

তবে এ বারও পুজোর চারটে দিন কোনও কাজ রাখিনি। ওই দিনগুলো পুরোপুরি নিজের জন্য। পরিবারকে সময় দেব। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাব। আমাদের দু’জনেরই পায়ের তলায় সর্ষে। ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ি। ‘এফআইআর’-এর প্রচারের কাজ শেষ হয়ে গেলে দুবাই চলে যেতে পারি এ বারও। নিজেদের মতো করে থাকব। আর তার সঙ্গেই মন মতো খাওয়াদাওয়া করব। সারা বছর চেহারা ঠিক রাখার জন্য সে ভাবেই কিছুই খেতে পারি না। পুজোতে রোজ না হলেও দু’এক দিন তাই ডায়েট ফাঁকি দেবই! তখন চাইনিজ, মোঘলাই, বাঙালি পদ, সবই চুটিয়ে খাব! ভালমন্দ খাওয়া ছাড়া কি পুজো হয়!

Advertisement

আর পুজোয় যদি কলকাতায় থাকি তা হলে এক দিন প্রেক্ষাগৃহে যাবই। না হয় না-ই দেখা করলাম সকলের সঙ্গে! চুপি চুপি কোনও একটা ছবি দেখে আসতে পারি।

আমাদের আবাসনে বড় করে পুজো হয়। নতুন জামাকাপড় পরে অঞ্জলিও দেব। আগের বছর পুজোর সব মন খারাপ এই পুজোতে কেটে যাবে। এখন শুধু দিন গুনছি। মা আসছে…

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement