দুর্গা পুজোয় মন খারাপ করে প্রতি বার। ভাল লাগে না এত আলো, ভিড়। এখন যেমন চলে এসেছি সুন্দরবনের ঝড়খালিতে। নিরিবিলি, মনের আরাম। মানুষের দূষণ নেই। চার দিক সবুজ আর জলের মাঝে আমি। আজ, চতুর্থীর দিনে মাছ ধরছি। বেশ লাগছে।
অন্য পুজো…
একদল ছেলে মিলে ঝড়খালিতে একটা রিট্রিট তৈরি করেছে। তার পাশাপাশি এরা এলাকার বাচ্চাদের পড়ায়। মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থাও আছে। যে আমি খেতে না পাই, ‘এসি চাই’, ‘এসি চাই’ বলে লাফাই সারাক্ষণ, সেই আমি-ই এখানে অল্প আলোয়, পাখার মধ্যে কেমন কাটাচ্ছি। এটাই আমার পুজো। বাচ্চাগুলোকে নিজে হাতে খাওয়ানোর মধ্যে এক ধরনের তৃপ্তি আছে।
ষষ্ঠীতে বাড়ি
এত সুন্দর একটা জায়গায় আছি এখন যে, মন চাইছে না ফিরতে। তবে ষষ্ঠীর দিন বাড়ি ফিরব। বেহালায় মেয়েদের পুজো আছে একটা, তার উদ্বোধনে যাব। ওইটুকুই…। বাড়িতে এক দিন হয়তো বন্ধুরা আসবে। আমার পোষ্যদের নিয়ে সময় কেটে যাবে।
এ বার পুজোয় আমার পোষ্যদের নিয়ে সময় কেটে যাবে।
মেয়েটা আমার খুব লক্ষ্মী
৩০ অগস্ট জন্মদিনের আগের রাতেই মাইয়্যা (আমার মেয়ে) ইয়াব্বড় একটা কেক এনে খুব চমকে দিয়েছিল এ বার! আমার মেয়ে খুব লক্ষ্মী। ওর পুজো নিয়ে কোনও বায়না নেই। নতুন জামা কাপড় হয়েছে। হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারবে বড়জোর। তবে ওর বাবার বাড়িতে এ বার আর পুজো হচ্ছে না। সেটা আমার মেয়ে নিশ্চয় মিস করবে।
আরও পড়ুন: পুজোর সব শপিং একা হাতে সামলে দিল নন্দিনীই
এবং প্ল্যানিং…
ঝড়খালিতে আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য শুট করছি এখন। নভেম্বরে ছবি পরিচালনার কাজে হাত দেব। বাড়ি ফিরে তার প্রস্তুতির প্রাথমিক কাজ আরম্ভ করে দেব এ বার।