পুজো মানেই আরও আরও ব্যস্ততা। প্যান্ডেল উদ্বোধন। চার দিক আলো ঝলমল। সকলের মন ভাল। সে যে যেখানেই থাকুক!
পুজোতে আমি প্রচুর মাছ খাই। আমি কিন্তু মেছো বাঙালি। পাবদা, মাগুর এই সব মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। খাওয়ার প্রসঙ্গ এলেই বুম্বাদার একটা কথা মনে পড়ে আমার।
এক বার বুম্বাদা বলেছিলেন, ‘রাইমা বোধহয় একমাত্র অভিনেত্রী যে ডায়েট না করেও নিজেকে মেনটেন করতে পারে।’ আমি পুজোতে সব খাই, শুধু মিষ্টি ছাড়া।
দুর্গা পুজো মানে আমার কাছে কিছু স্মৃতি আর অনেকটা পরিবার। এই স্মৃতির ছায়া আজও আমার সঙ্গে। আম্মার সঙ্গে সময় কাটানো। একসঙ্গে লাঞ্চ করা। নানা রকম বাঙালি রান্না খাওয়া একসঙ্গে। গল্প করা। আর গভীর রাতে সকলের চোখ এড়িয়ে আম্মাকে নিয়ে প্যান্ডেল হপিং। আম্মা খুব ঠাকুর দেখতে ভালবাসত। তাই ওর সঙ্গে এক রকম লুকিয়েই আমরা প্যান্ডেলে পৌঁছে যেতাম। কেউ চিনতেও পারত না, লোকজন কমে আসত, খুব মজা হত। পুজো উপলক্ষে আম্মা অনেক উপহার দিত আমাদের দুই বোনকে।
আরও পড়ুন: অনিন্দিতা আর আমি শহর ছাড়ব অষ্টমীতে: সৌরভ
এই উপহারের ব্যাপারটা আজও আছে। মা আমায় শপিংয়ে নিয়ে যায় প্যাম্পার করে। প্রচুর কেনাকাটা হয়। বেশ লাগে। একটা সাজ সাজ রব।
আমি যতই ওয়েস্টার্ন আউটফিট পরি না কেন পুজোয় আমি কনসার্ভেটিভ মোডে চলে যাই। লাইট ওয়েট কালারফুল শাড়ি। শাড়িতে রং চাই-ই চাই। হাজার হোক দুর্গা পুজো, যা বছরে এক বারই আসে। শাড়ির সঙ্গে বেশ মানানসই অনেক গয়না। তবেই না একটা জমাটি লুক হবে!
ও আর একটা বিষয় তো বলতেই ভুলে যাচ্ছিলাম! মানুষ ভাবে নায়িকারা পুজোতে প্রেম করবেই। আচ্ছা এটা আর কত দিন শুনতে হবে আমায়? পুজো মানেই বলছিলাম স্মৃতিরা এসে দাঁড়ায়। সে রকম একটা অভিজ্ঞতা মনে এল।
আরও পড়ুন: পুজোয় এ বার দুবাই যাব, অঙ্কুশও থাকবে: ঐন্দ্রিলা সেন
এই প্রশ্নটা আমাকে কে কে মেননও জিজ্ঞেস করেছে! ‘হনিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সময় থেকে জানতে চাইছে, আমি কবে বিয়ে করছি! শেষ বার দেখা হওয়ায় বলল, ‘দশ বছর হয়ে গেল, এখনও বিয়ে করলে না!’
আমি এখনও অপেক্ষা করছি, প্রিন্স চার্মিংয়ের জন্য!
তাই সাফ সাফ জানিয়ে দিচ্ছি কিন্তু, এ বার পুজোতেও কোনও প্রেম নয়। আরে একটু নিজেকে ভালবাসতে দিন...।