পুজো নিয়ে আলাদা কোনও উন্মাদনা নেই অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের।
বাংলা থিয়েটারের পরিচিত মুখ অর্ণ মুখোপাধ্যায়। গত ১০ বছর ধরে সে জগতেই তাঁর বাস। তবে ইদানীং টলি পাড়াতেও আনাগোনা রয়েছে তাঁর। সৌজন্যে প্রথম ছবি ‘কবীর’।
দেব প্রযোজিত ‘কবীর’-এর পর এই পুজোতেও দেবের প্রোডাকশনেই মুক্তি পাচ্ছে অর্ণর দ্বিতীয় ছবি ‘হইচই আনলিমিটেড’। ছবি কেমন হবে, সে নিয়ে অর্ণর উত্তেজনা রয়েছে। তবে পুজো নিয়ে আলাদা কোনও উন্মাদনা নেই।
হাওড়ার ছেলে অর্ণ নাকি পুজোয় গঙ্গা পেরোন না। তাঁর কথায়: ‘‘আমাদের বাড়িতে পুজো হয়। আমার বাবা, তাঁর বাবা, তাঁর বাবা— এ ভাবেই চলে আসছে। অনেক দিনের পুজো। এখন হয়তো এত বড় ভাবে কিছু হয় না। কিন্তু হয়। পুজোর ক’টা দিন আমি ওখানেই থাকি। গঙ্গা পেরোই না। গেট টুগেদার হয়। খাওয়াদাওয়া হয়। আর সপ্তমীর দিন ওই জামাটা পরতে হবে বা অষ্টমীর দিন ওমুকের সঙ্গে বেরোতেই হবে, এ সব আমার নেই।’’
আরও পড়ুন: এই পুজোয় খাওয়া-ঘুম-রাধুবাবুর স্টু, নব প্রেম পঞ্চাশে
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের ঠাকুরদালানে আড্ডায় ‘মহাদেব’! সঙ্গে এক ঝাঁক সেলেব!
বাড়ির পুজোর আলাদা আমেজ থাকে। অর্ণ সেই পরিবেশে মানুষ। ফলে ছোট থেকেই ভিড় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। আত্মীয়, দূরে থাকা ভাইবোনেদের সঙ্গে মিলেমিশে আড্ডা দেওয়াতেই পুজোর প্রাণ খুঁজে পান তিনি। নাটকের দলের ছেলেমেয়েরাও সে সময় তাঁর বাড়িতে যান। আর থাকেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
আর বান্ধবী? হেসে অর্ণর জবাব, ‘‘আমার বন্ধু সংখ্যা খুব কম। আর ছোট থেকেই এ ব্যাপারে পোড়া কপাল। হয়তো গায়ের রঙ কালো বলে বান্ধবীও বিশেষ নেই। সে ভাবে কেউ প্রোপোজও করত না। তাই পুজোর প্রেম নিয়ে আমার আলাদা কোনও নস্ট্যালজিয়া নেই।’’
ভিডিয়ো: অজয় রায়।