দর্শনা বণিক
ছোটবেলায় দুর্গাপুজো আসত ঠিক হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার পরেই। তাই পুজোর আগে পরীক্ষা শেষ হওয়ার উচ্ছ্বাস আর পুজো আসছে-র একটা আনন্দ– দুইয়ে মিলেমিশে অদ্ভুত এক উত্তেজনা কাজ করত।
যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা মারুতি ওমনি গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোতাম। সারা রাত ঠাকুর দেখার পরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া ছিল পুজোর বরাবরের রুটিন। সঙ্গে ছিল পাড়ার পুজো এবং তার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাতে আমি অংশগ্রহণ করতাম। তার আগে একটা রিহার্সাল পর্ব চলত। এ সময়ে আমাদের স্কুলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। তাই পুজো মানে আনন্দ, উত্তেজনা, উন্মাদনায় পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই স্মৃতিগুলোই আমার মনে পড়ে বেশি করে।
বিয়ের পরে সৌরভের সঙ্গে এটা আমার প্রথম দুর্গাপুজো। কিন্তু পূজা পরিক্রমার কাজগুলো সমানতালে চলছে। সৌরভও রয়েছে আমার পরিক্রমায়। তাই একসঙ্গে সময় কাটাতে অসুবিধা হচ্ছে না। এ ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে প্রচুর ঘুরব, মজা করব, খাব, আড্ডা মারব– এটাই প্ল্যান। নিজের বাড়ির পাশাপাশি এ বছর আর একটি প্রাপ্তি শ্বশুরবাড়ি। দুই বাড়ির মধ্যে সময় ভাগাভাগি করতে আমি একটা বড় স্যুটকেস প্যাক করে নিয়েছি। তাতে আমার সব সময়ের জামাকাপড় আর পুজোর নতুন জামা কাপড়গুলো নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, যখন যে বাড়িতে যাচ্ছি! এটাও কিন্ত দারুণ মজার!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।