ভাই-বোনের বন্ধনের পবিত্র উৎসবে সামিল হন সাধারণ মানুষ থেকে খেলোয়াড়, অভিনেতারা। বাদ যায় না রাজনীতিবিদরাও। লাল থেকে সবুজ কিংবা গেরুয়া, সবাই একে অপরের মঙ্গলকামনায় ব্যস্ত। সমস্ত দলের প্রায় সবাই এই দিনটি পালন করেন সাড়ম্বরে।
তৃণমূল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অংশগ্রহণ করেছিলেন ভাইফোঁটাতে। তিনি জানান, ভাই ও বোনের থেকে পবিত্র সম্পর্ক এই পৃথিবীতে আর হয় না। শৈশবে বোনেরা এসে তাঁকে ভাইফোঁটা দিতেন, খুব আনন্দের সঙ্গেই তিনি ফোঁটা গ্রহণ করতেন। পায়েসের লোভে ভাইফোঁটা নিতে বসতেন যেহেতু খুবই বড় খাদ্য রসিক তিনি। প্রত্যেক বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তিনি।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও লোকসভা সদস্য মালা রায় তাঁর ভাইদের ভাইফোঁটা দেন এবং তিনি জানান, বাঙালির কয়েকটি উৎসব যেমন জামাইষষ্ঠী, ভাইফোঁটা ইত্যাদি এইগুলি বাঙালির আবেগ, যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন ভাইদের ফোঁটা দেওয়ার থেকে কখনওই বিরত থাকেন না তিনি। ভাইফোঁটার দিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও তিনি দুপুরের একটু সময় বের করে নেন ভাইদের ফোঁটা দেওয়ার জন্য।
বাদ যাননি তৃণমূল বিধায়ক এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও, বোনেদের থেকে ভাইফোঁটা গ্রহণ করেন। তিনি জানান, এই দিনটির জন্য তিনি প্রত্যেক বছর অপেক্ষা করে থাকেন বোনেদের থেকে ফোঁটা নেওয়ার জন্য। তাঁর বোনেরাও জানান, সুজিত বসুকে তাঁরা শুধু মন্ত্রী হিসাবে না, একজন ভাল দাদা হিসাবেও শ্রদ্ধা করেন। প্রত্যেক বছর তাঁরা দাদাকে ফোঁটা দেন, আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। এটিই সবচেয়ে বড় পাওনা তাঁদের।
রাজনীতিবিদদের ভাইফোঁটার তালিকা থেকে বাদ যায়নি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইফোঁটাও। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফোঁটা নিয়ে আত্মহারা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রত্যেক বছর এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন তিনি। দিদির আশীর্বাদটুকুই তাঁর কাছে যথেষ্ট বলে তিনি জানান সংবাদমাধ্যমকে।
প্রাক্তন বিজেপি সংসদ লকেট বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মী এবং নেতাদের এই বছর ভাইফোঁটা দিলেন।
আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নীমিত্রা পাল পালন করলেন এক অন্য ভাইফোঁটা। আসানসোলের হিরাপুর গ্রামের আদিবাসীদের ফোঁটা দিলেন তিনি। তিনি জানান, আদিবাসীদের মতো পরিচ্ছন্ন সম্প্রদায় খুব কমই আছে, প্রতি বছরই তিনি এখানে আসেন বলে জানান। উৎসব শেষে আদিবাসী নাচে যোগদান করেন তিনি।
সিপিআইএম প্রার্থী ও আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেটমাধ্যমে ভাইফোঁটার মুহূর্তগুলি তুলে ধরেছেন, যেখানে তাঁর বোন ও দিদিদের ভাইফোঁটা দিতে দেখা গিয়েছে। রাজতীতির মঞ্চ, আইন মঞ্চ থেকে সরে গিয়ে এই দিন খোশমেজাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ