কাজের সূত্রেই প্রথম আলাপ। এক জন নায়িকা, অন্য জন সঙ্গীত পরিচালক। এক জন থাকেন কলকাতায়, অন্যজন কাজের সূত্রে মুম্বইতে। কিন্তু প্রত্যেক বছর ভাইফোঁটায় নিয়ম করে শুভশ্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে আসেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই বছরও তার অন্যথা হল না।
সূদূর মুম্বই থেকে একদিনের জন্য উড়ে এলেন জিৎ। শুভশ্রী কপালে চন্দনের ফোঁটা একে আওড়ালেন — “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা…।” শাঁখ-উলু, ধান-দুর্বা থেকে পেটপুজো — উৎসবের আয়োজনে রীতিমতো আপ্লুত জিৎ। ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “শুভ আর সম্পর্কটা একদম আলাদা। আমার বাবা ওঁকে মেয়েই বলত। যেহেতু আমরা দু’জনেই গঙ্গোপাধ্যায়, সেহেতু সম্পর্কটা যেন আরও কাছের। বার বার করে ও বলেছিল আসতেই হবে। কাল সকালেই আমি ফিরে যাব।”
শুধু তো ভাইফোঁটা নয়, সকাল থেকই জিতের জন্য ছিল জমাটি ভূরিভোজ। ভাইফোঁটার পাতে হরেক রকমের মিষ্টি। সকালের জলখাবারে লুচি, আলুর তরকারি। দুপুরে সরু চালের ভাত, পাঁঠার মাংস, সঙ্গে হরেক রকমের তরকারি। উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে জিত বললেন, “ও যে ভাবে আয়োজন করেছে তাতে আমি রীতিমতো আপ্লুত।”
উল্টো দিকে শুভশ্রী জানালেন, “জিৎদার সঙ্গে আমার বহু বছরের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক শুধু কাজের সূত্রেই নয়, একটা আত্মিক টান রয়েছে। একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। বলা ভাল, এই দিনটার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষা করে থাকি।”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।