রাত পেরোলেই মহালয়া। ভোরের আলো ফোটার আগেই সমাজ মাধ্যম মেতে উঠবে মহালয়ার সুরে পুজোর আনন্দে। পুজো শুরুর ঠিক আগেই মহালয়ার এই শুভ লগ্নে দেবী রূপে আনন্দবাজার অনলাইন বেছে নিয়েছে রূপোলি পর্দার সেরা কিছু মুখকে।
তাঁরা কেউ ব্যক্তিগত জীবনে ছকভাঙা, আবার কেউ পর্দার ডাকসাইটে সাহসী নায়িকা। অভিনয় থেকে জীবনযাপন, অন্য ধারার ভাবনা চিন্তা তাঁদের প্রতি ভঙ্গিমায়।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে ওয়েব মাধ্যমে তাঁর প্রথম ছবি ‘দত্তা’। তিনি আজও স্রোতের বিপরীতে হাঁটেন, কাজ করেছেন তাবড় তাবড় পরিচালকের সঙ্গে। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আজও তাঁর সাজ নিয়ে চর্চার শেষ নেই, তিনি চিরন্তনভাবে আলোচনার কেন্দ্রে।
পাওলি দাম, নামটাই যথেষ্ট আজও ইন্ডাস্ট্রিতে সকলকে অবাক করে দেওয়ার জন্য। একটা সময়ে নিজের সাহসী অবতারে অভিনয়ের জন্য দেশজোড়া পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার পর বিয়ে করে সংসারী হলেও বদলায়নি তাঁর অন্য রকম ভাবনা।
জয়া এহসান। এপার-ওপার দুই বাংলার আঠেরো থেকে আটচল্লিশ, মন হারিয়েছেন সব পুরুষ। তাঁর অভিনয়ের ধার মাতিয়ে দিয়েছে দুই বাংলার সিনেমা জগৎকেই। সাহসী থেকে ছকভাঙা, কোনও রকম চরিত্র থেকে পিছিয়ে নেই তিনি। প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন এই দমেই!
অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর নাম জানেন না, এমন কোনও অভিনয়ের সমঝদার বোধহয় নেই এই মুহুর্তে। সোহিনী সেনগুপ্তের কাজের প্রশংসা আজ দিকে দিকে। মঞ্চ থেকে অভিনয় জীবন শুরু হলেও এখন তিনি ছোট ও বড় পর্দার অতি চেনা মুখ। তিনি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তও। তাঁর মেধা, তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়েও চর্চার অভাব হয়নি কখনও।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর নাম মানেই সবার নড়ে চড়ে বসা। সাজপোশাক থেকে জীবনযাপন, সবটাই তিনি নিজের মতে চলেন। কখনও ছোট করে ছাঁটা চুলের সঙ্গে কালো পাঞ্জাবি, সাদা ধুতির সাজ, আবার কখনও তিনি বিরহিণী রাধার মতো অভিসারের পথ চেয়ে বসে নরম শাড়ির সাজে। দেশজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন অভিনয়ে তাঁর দক্ষতার জন্য।
কিংবদন্তিদের পরিবার থেকে আসার জনপ্রিয়তায় কোনও দিন বেগ পেতে হয়নি তাঁকে। তবে নিজের আবেদনময়ী মোহ দিয়ে তিনি নিজের মতো করেই ঝড় তুলে দিয়েছেন অনুরাগীদের বুকে। আজও তাঁর কেতার অনুকরণ করে চলেছে কত যুবতী! রাইমা সেন একাই একশো!
ইন্ড্রাস্ট্রির মধ্যে থেকেও তিনি সবার থেকে আলাদা। তিনি কোয়েল মল্লিক। কাজ সেরে বাড়ি ফিরলে আজও ফোন ‘সুইচ অফ’ হয়ে যায়। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর ক্ষেত্রে ফোন থাকে অনেক দূরে। কাজের পরিসরে তাঁর অভিনয় বরাবর দাগ কেটেছে সকলের মনে। তিনি যেমন দক্ষ সংসারী তেমনই চুটিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জীবন বরাবরই ছকভাঙা, তিনি নিয়মের বাইরে হাঁটতে ও বাঁচতে ভালবাসেন। তাঁর যাপনের বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। তবু সদা হাস্যময়ী শ্রাবন্তী নিজের লাস্যময়ী অবতারের সঙ্গে আপস করেননি কখনও।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সংসার, নিজেকে প্রকাশ করা এবং অভিনয়, এই তিন ক্ষেত্রেই তিনি সমান দক্ষ। দিন আগেই তার দ্বিতীয় বার সাধের ছবি তরঙ্গ তুলেছে অন্তর্জাল মাধ্যমে। সিনেমার পর্দার পাশপাশি সদ্য ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেও প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সামলে চলেছেন সংসার, অভিনয় ও প্রযোজনার কাজ।
প্রিয়ঙ্কা সরকারের জীবনযাপন বা সাজকথা কোনও কিছুই বাদ যায়নি অন্তর্জালের আলোচনা চক্র থেকে। এই বছর লম্বা বিচ্ছেদ পেরিয়ে তাঁর ও তাঁর স্বামীর নতুন করে সংসার গড়ার কথা উঠে এসেছে খবরের পাতায়, তবে মাতৃত্ব হোক কী বিয়ে, অভিনয় হোক কী ফ্যাশন, প্রিয়ঙ্কা যে চিরকালই অন্য রকম, তাতে সন্দেহ নেই।
মিমি চক্রবর্তীর এক অঙ্গে অনেক নাম! এই নাম ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর বহুমুখী নানা চরিত্র করার ফলে। কখনও তিনি রাজনীতিক, কখনও অভিনেত্রী! 'পুপে' থেকে 'পুলিশ ইন্সপেক্টর', তাঁর সাজগোজ, ব্যক্তিগত জীবন বা সম্পর্কের টানাপড়েন সবই খবরের সময়ে সময়ে এসেছে খবরের শিরোনামে। সব পেরিয়েও তিনি হাসিমুখে অনন্যা।
কী অভিনয় কী ফোটোশুট, তিনি সাবলীল সব ক্ষেত্রেই। সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যার হিসেবনিকেশ রাখে কে! তিনি সোহিনী সরকার। সোহিনী অনায়াস, ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়ের মতো।
সমাজমাধ্যমে বহু অনুরাগীদের মন কেড়েছে তাঁর ছবি। তাই নিয়ে আবার কটুক্তিও কম পোহাতে হয়নি তাঁকে। অভিনয় জগতে রয়েছেন দেখতে দেখতে অনেক বছরই হল, তার মধ্যেই দাম্পত্য, বিচ্ছেদ, বহু কাটাছেড়া এসেছে গিয়েছে তাঁকে নিয়ে। তবু মধুমিতা সরকার দমে যাননি কোনওদিন, তিনি সব সময়ই নজরকাড়া।এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।