‘কালচারাল অ্যাসোসিয়েসন, ইইউ, এন্টওয়ার্প, বেলজিয়াম’। বেশ বড় নামটা। অনেকগুলি ইংরেজি শব্দ। কিন্তু এদের পরিচয় এ ভাবে ছাড়া কী ভাবে দেব?
এই পুজো এ বারে দ্বিতীয় বছরে পা রাখল।
ষষ্ঠী থেকে শুরু করে এখানে দশমী অবধি বৈদিক নিয়ম মেনে কালিকা পুরাণ মতে হয়। এই পুজো করেন যিনি, তিনি মা দুর্গার মূর্তি গড়েছেন এখানে। সবেকি ধাঁচে বানানো তিন চালার পুজো। মূর্তি বানানোর সরঞ্জাম কলকাতা আর কুমোরটুলি আর অনলাইন সাইট থেকে কেনা হয়েছে।
এ বারে পুজোর থিম ‘মাতৃ রূপেন সংস্থিতা’, যেখানে আমরা এই বিশ্বের সকল মা"কে উৎসর্গ করে থিমে এর ভাবনা সাজিয়েছি এবং পুজোর জায়গাটিকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ভাস্কর্য, পেন্টিং এর মাধ্যমে।
এন্টওয়ার্প, বেলজিয়ামে এরাই প্রথম দুর্গা পুজো শুরু করেন বলে দাবি সংগঠকদের। পুজোর একজন উদ্যোক্তা অঞ্জন ভট্টাচার্য, যিনি নিজেই পুরোহিত এবং মূর্তির নির্মাতা। তবে অঞ্জনের উদ্যোগের অংশীদার উপাসনা ভট্টাচার্য, অঞ্জন সরকার, জয়িতা ভট্টাচার্য, রোহান বিশ্বাস, ব্রততী দেব, আদিত্য কে, শুভম সরকার, পৌলমী দাস সরকার, মৃগাঙ্কো বিশ্বাস, রাজর্ষি মিত্র। ওঁরা জানালেন, ‘দেবজিৎ সেনগুপ্ত, সংঘমিত্রা সেনগুপ্ত এবং আরও অনেকে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের সার্থক রূপান্তর আমাদের এবারের পুজোর আয়োজন। সকলেই অফিসের কাজের সাথে তাল মিলিয়ে এই পুজোর আয়োজন এ যোগদান করেছে।
গড়বা, ধুনুচি নাচ ঢাকের তালে, কুমারী পুজো থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলা, বিসর্জন সবটাই পালিত হয় নিয়ম মেনে। এখানে চন্ডী পাঠ করেন পৌলমী দাস সরকার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সবদিনই হয় আর তাতে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস থেকে আগতো বাঙালী ও অবাঙালী শিল্পী দের মেল বন্ধনে হয়ে থাকে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।