সুইৎজ়ারল্যাণ্ডের জ়ুরিখ শহর। ২০০৩ সালে কিছু বাঙালি দুর্গাপুজো করার চিন্তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। এই বছর তাঁদের পুজো ২০ বছরে পড়ল। প্রথম দিকে আয়োজকরা পুজোর জায়গা ও দেশ থেকে প্রতিমা নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তেন। এখন সে সবেরই বালাই নেই।
এই শহরে প্রতি বছরই পুজো বাংলার পঞ্জিকা মেনে করা হয়। এ বারও পাঁচ দিন ধরে পুজো হয়েছে এখানে। পুজোর কোনও নিয়মে ফাঁকি রাখতে চান না এই পুজোর সদস্যরা।
দেবীর বোধন থেকে বির্সজন সবটাই এখানে পঞ্জিকা মেনে করা হয়। সন্ধিপুজো থেকে কাসর ঘণ্টা বাজানো, কিছুই বাদ পড়ে না।
এখানকার প্রতিমা ফাইবারের তৈরি। কলকাতার কুমারটুলির অমরনাথ ঘোষ ও কৌশিক ঘোষ এই মূর্তি বানিয়েছেন। এ বার পুজোর থিমের নাম তারা দিয়েছিলেন ‘সহজ পাঠ’। পুজো কররা জন্য ভারত থেকেই পুরোহিত নিয়ে যাওয়া হয়। আগে পুজো করতেন জয়দেব ভট্টাচার্য। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত তিনিই পুজো করেন। তবে কোভিডের পর থেকে তাঁর যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে, তাঁর জায়গায় পুজো করছেন কেশব ভট্টাচার্য। এখানে প্রতিমার বির্সজন হয় না। মূর্তি পরের বছরের জন্য তা সংরক্ষণ করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।