সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম। ছবির মতো সুন্দর শহর ও মানুষজন। তবে অক্টোবর মাস পড়তেই এখানকারও বাঙালিদের মনটা পুজোর জন্য আনচান করে!
সেই উচাটন থেকে ২০১৩ সালে এখানে গড়ে ওঠে স্টকহোম সর্বজনীন পুজো কমিটি। আর শুরু হয় এই প্রবাসেই বাঙালির নিজেদের পুজো, সবার অপেক্ষার দুর্গাপুজো। কমিটি একটি সংস্থার মতো তৈরি হয়েছিল ১৭ জন সদস্যকে নিয়ে। আজও বহাল রয়েছে দুর্গাপুজোর পাশপাশি কালীপুজো ও সরস্বতী পুজোর চলও। কলকাতার কুমোরটুলি আর কৃষ্ণনগরের ঘুর্ণি থেকে আসে ফাইবার গ্লাসের তৈরি প্রতিমা, তাই দিয়েই পুজো হয় নিয়ম মেনে।
এই বছর এই পুজো ১১ তম বর্ষে পা দিল। ২০ থেকে ২২ অক্টোবর অবধি সময়কালে ইয়ারফালা কলেজ কমপ্লেক্স ও অডিটোরিয়াম চত্বরে পুজো হচ্ছে। এই সময় আয়োজন করা হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাতে সকলে যোগদান করছেন। থাকছে আগমনীর গান, অন্যান্য সঙ্গীত পরিবেশনা, নাচ, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ইত্যাদি!
এই বছরের ক্যুইজ ও নাটকের থিম হল চন্দ্রযান ৩। এই সবের পাশাপাশি ২০১৩ সাল থেকেই প্রতি বছর নিয়মমাফিক ‘লিখন’ নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ পায়, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও নানা জায়গার মানুষ লেখালিখি করেন। ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এই পুজোয়। প্রায় ২৫০০ মানুষের সমাগমের জন্য ব্যবস্থা থাকে প্রসাদ বিতরণ ও খাওয়া-দাওয়ারও। সঙ্গে থাকে বাংলা বই, খাবার ও নানা জিনিসের স্টল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।