দেশ ছেড়ে বহু দূরে। বাংলায় লেগছে শরতের হাওয়া। ও দেশে ঠান্ডা। তাতে কী! শিকড় তো বাংলায়। এ বারও সাগর পারে দুর্গোৎসবে মেতে উঠতে চলেছে আমেরিকার নিউ জার্সির ‘কল্লোল’।
আমেরিকার এই পুজো বাংলার অনেক পুরোনো পুজোর মতোই। ১৯৭৫ সালে বিদেশে বাঙালিদের এই সামাজিক ক্লাব বা দুর্গাপুজো কমিটি তৈরি হয়। এ বার এই পুজো ৪৭ বছরে পড়ল। মার্কিন মুলুকে বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব এই ‘কল্লোল’।
প্রায় ৫হাজার প্রবাসী বাঙালি এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। দুর্গা পুজোর সময় আলাদা করে বিদেশে ছুটি থাকে না। তাই এখানেও সপ্তাহের শেষের দিকে শুক্রবার থাকে রবিবার পর্যন্ত পুজো হয়। সব আচার-আচরণ মেনেই পুজো করা হয়।
কল্লোলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভবানী মুখোপাধ্যায় ও বর্তমান সভাপতি অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুজো করেন। দেবী মূর্তিতে থাকে সাবিকেয়ানা। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। তবে তা প্রতি তিন বছর অন্তর।
পুজোর পর ঠাকুরের প্রতীকী বিসর্জনের পর সেই মূর্তি আগামী বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এই বাংলায় পুজো যেমন শুধু পুজোতে আটকে নেই তেমন ভাবেই আমেরিকার নিউ জার্সিতে দুর্গাপুজোকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ‘কল্লোল’।
এই তিন দিন জুড়ে প্রচুর বাঙালি এই পুজোতে আসেন। প্রতি দিন প্রায় ২ হাজার লোক হয়। খাওয়া-দাওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ কলকাতা থেকে গায়করা এসে মঞ্চ মাতিয়ে দেন। এ বারেও তাঁর অন্যথা নেই।
এ ছাড়াও প্রতিদিন স্থানীয় অনুষ্ঠান হবে। কল্লোলের সভাপতি অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমরা সকল নিষ্ঠা-আচরণের সঙ্গে পুজো করি আসি। প্রায় ৫হাজার বাঙালি আমাদের এখানে পুজোর সময় আসেন। এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে। এখন এটা শুধু পুজোর মধ্যে আটকে নেই। একটি উৎসবের চেহারা পেয়েছে।“ এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।