স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহর। এই শহরেই হয় স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড়ো পুজো।১৯৮১ সাল থেকে পুজো শুরু হয় এখানে। ৪২ বছর ধরে গ্লাসগোর বাঙালির প্রাণকেন্দ্র এই পুজো।
মহালয়ার দিন মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পাঁচ দিন তিথি মেনে, সব নিয়ম আচার মেনেই পুজো হয় এখানে। এখানে প্রতিমা পাঁচ চালার। বাংলা পঞ্জিকা মেনে মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পযর্ন্ত পাঁচ দিন ধরে পুজো হয়।
প্রথমে এই পুজো গ্লাসগোর কয়েক জন বাঙালি মিলে শুরু করেছিলেন। এই পুজোর অবশ্য কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই। গ্লাসগোর কমিউনিটি হল বা কোনও চার্চ ভাড়া করে পুজো করা হয়। পুজোর বর্তমান ঠিকানা তিনশো বছরের চেয়ে বেশি পুরনো এক গথিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চ।
নাম কোটস পেসলি। চার্চের অল্টারের ওপর যিশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তির সানে সপরিবার দাঁড়িয়ে থাকেন মা দুর্গা। গ্লাসগোর মাতৃবন্দনার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এখানে সব কাজ নিজের হাতে করা হয়।
সদস্যরা কাজ ভাগ করে নেন। এতে পুজোয় সবাই অংশগ্রহণ করতে পারেন। আবার বেশি কাজের চাপে পুজো দেখার সময় নেই এমন অবস্থাও হয় না। এমনটাই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছে আয়োজকরা।
মহালয়ার মহিষাসুরমর্দিনী ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় পুজোর পরে হয় বিচিত্রানুষ্ঠান। পুজোয় সন্ধিপুজো, হোম, কুমারী পুজো, পুষ্পাঞ্জলি, শান্তির জল নেওয়া কিছুই বাদ পড়ে না। শুধু দশমীর দিন বরণের সময় মায়ের মুখ না ছুঁয়ে সিঁন্দুর আর মিষ্টি দেওয়া হয়। কারণ এখানে প্রতিমা পরের বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।