Durga Puja in San Diego

সান দিয়েগোর ‘সৈকতের’ দুর্গাপুজো, বিদেশের মাটিতে যেন এক টুকরো বাংলার ছোঁয়া!

সান দিয়েগোর ‘সৈকতের’ দুর্গাপুজো এই বছর ১৯ বছরে পদার্পণ করল। প্রথমে এখানে বাঙালি সম্প্রদায়ের পুজো খুব ছোট করে শুরু হলেও ক্রমশ তা বড় জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে চোখের পলকে।

Advertisement

সুমনা চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৩৮
Share:

সান দিয়েগোর ‘সৈকতের’ দুর্গাপুজো

ঢাকের বাদ্যি, শাঁখের আওয়াজ, উলুধ্বনি কোনওটাই বাদ যায়না সান দিয়েগোর দুর্গাপুজোয়। এ যেন বিদেশের মাটিতে এক টুকরো বাংলা। সান দিয়েগোর ‘সৈকতের’ দুর্গাপুজো এই বছর ১৯ বছরে পদার্পণ করল। প্রথমে এখানে বাঙালি সম্প্রদায়ের পুজো খুব ছোট করে শুরু হলেও ক্রমশ তা বড় জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে চোখের পলকে।

Advertisement

স্থানীয় সব বাঙালিরা পুজোর এই কয়েকটি দিন এখানে এসে ভিড় জমান। প্রতিমা দর্শনে করেন। দেশের থেকে দূরে থেকেও দেশের অনুভূতি পাওয়ার সেরা জায়গা হিসেবেই এখানকার দুর্গাপুজোকে বেছে নেয় তারা। শুধুমাত্র দেশীয় বাঙালিরাই নয়, এখানকার স্থানীয় অবাঙালি মানুষেরাও এই পুজোয় ভিড় জমায়। প্রায় ১২০০ লোকের আগমন হয় এই পুজোয় এই সব কিছুর কথা মাথায় রেখে একটি স্কুলের অডিটোরিয়ামকে বেছে নেওয়া হয় পুজোর জন্য।

দুর্গাপুজোর দু’দিন চলে দেদার খাওয়া দাওয়া এবং নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই বছর দেশ থেকে শিল্পীরা আসছেন অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু এই বছর দেশে ঘটে যাওয়া আর জি করের ঘটনাকে মাথায় রেখে অভয়ার জন্য প্রতিবাদের সুর থাকছে সমগ্র পুজো জুড়ে। প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে এই বছর। পুজোর সময় এই সংস্থার নিজস্ব পত্রিকাও প্রকাশিত হয়, যার নামও ‘সৈকত’।

Advertisement

এখানকার ছোট বড় সকলেই তাদের মনের কথা প্রকাশ করে এই পত্রিকার মাধ্যমে। শুধুমাত্র পূজার্চনা নয়, বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত এই সংগঠন। যেমন তারা দেশের শিশুর জন্য পড়াশোনার ভার তুলে নিয়েছে তেমনি পশ্চিমবঙ্গের কিছু মহিলাদের সুস্থ স্বাস্থ্যের ভারও গ্রহণ করেছে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement