শরতের আকাশ, কাশফুলের নির্মল দৃশ্য জানান দিচ্ছে বছরের সব চেয়ে প্রতীক্ষিত সময়, শারদোৎসব এসে গিয়েছে। তবে শুধু মাত্র এই দেশেই নয়, প্রবাসী বাঙালিরাও মেতে ওঠে এই ঐতিহ্যময় উৎসবে। যেমন উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্ট। এখানে একটা নয়, একাধিক দুর্গাপুজো হয়।
তাদের মধ্যে অন্যতম এক সংস্থা এএনআই বেঙ্গলি কালচারাল ক্লাব। ২০১০-তে কিছু বাঙালি পরিবারকে একত্রিত করে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করে এই ক্লাব। তার পর থেকে প্রতি বছর এই বাঙালি পুজো কমিটি যথাসাধ্য নিয়ম মেনে দুর্গাপুজো আয়োজন করে মায়ের আরাধনা করে এসেছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নানা রকম বাঙালি খাওয়া-দাওয়া তো রয়েছেই। এর সঙ্গে থাকছে সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচ। বাদ যায়নি বাঙালির প্রিয় রসগোল্লাও। প্রায় সব নিয়ম মেনেই পরম শ্রদ্ধায় মাতৃ আরাধনা করা হয়। তৈরি হয় এক ঐতিহ্যময় বাঙালি সংস্কৃতির আমেজ।
আরও এক অন্যতম সংস্থা মুদ্রা আকাদেমি অব পারফর্মিং আর্টস এই বছর ১৩তম দুর্গাপুজো এবং দশেরা উৎসব উদযাপন করছে। এই নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য স্থানীয় সম্প্রদায় এবং দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে তোলা। শিশুদের নাচের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি উত্তর আইরিশ সম্প্রদায়কে ভারতীয় সংস্কৃতিতে শিক্ষিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে।
কুমারী পুজোর পাশাপাশি এই পুজোর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিদ্যারম্ভাম আচার। যে সব শিশুরা ভারতনাট্যম শিখতে চায় তারা শিক্ষকের সঙ্গে এই আচারের মাধমে তাদের নৃত্য শেখার যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়াও পুজোর সময় আয়োজিত হয় গরবা এবং ডান্ডিয়া। জোশ গ্রুপের ছোট ছেলেমেয়েদের রামলীলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ।
সিঁদুর খেলার পর আসে রাবণ দহন। প্রতি বছর একটি রাবণের মূর্তি তৈরি করা হয়। এবং উপস্থিত সকলের উল্লাসের সঙ্গে সেটি পোড়ানো হয়। এই বছর বেলফাস্ট সিটি কাউন্সিল এবং ইন্ডিয়ান কমিউনিটি সেন্টারের সহযোগিতায় পুজোর বিভিন্ন কার্যক্রম আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে।