আরও পড়ুন: দেখতে দেখতে ১৪ বছর, তৈরি হচ্ছে ডেট্রয়েটের দুর্গা টেম্পল
আরও পড়ুন: হুহু করে উঠত বুকটা, এ বার পুজোয় কলকাতাটাকেই তুলে আনছি অসলোয়
এ বছর আমাদের পূজা তৃতীয় বৎসরে পড়ল। বিষ্ণুপুর ঘরানার টেরাকোটা রীতিতে মণ্ডপসজ্জা এ বার আমাদের পূজার বিশেষ আকর্ষণ। সঙ্গে সাবেকি আদলের মূর্তি। আমাদের আশা, এই সাবেকি অলঙ্করণ শুধু দর্শকের মন জয় করতেই সক্ষম হবে না, সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মকে স্বদেশের অনন্য সাধারণ প্রাচীন শিল্পকলা ও শিল্পীদের শিল্পনৈপুণ্যের আভাস দিতে সমর্থ হবে। এই মণ্ডপসজ্জা আমাদেরই কয়েকজন সদস্য নিজে হাতে তৈরি করেছেন তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও শিল্পসত্তার মেলবন্ধন ঘটিয়ে। বাংলার পোড়া মাটির সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে প্রবাসীদের আপ্লুত করে তুললেই এই প্রচেষ্টা সফল হবে। মণ্ডপসজ্জার অভিনবত্ব ছাড়াও যথাবিহিত নিয়মরীতি মেনে পূজা হবে, সঙ্গে থাকবে সংগীতসুধা পানের আয়োজন। আর বাঙালি তথা ভারতীয়দের কোনও আড্ডাই সম্পূর্ণ হয় না ভুরিভোজ ছাড়া। দ্বিপ্রাহরিক ভোগ বিতরণের সঙ্গে ভিন্ন স্বাদের খাবারের পসরা সাজিয়ে বেশ কয়েকটি ফুড স্টল থাকবে পূজা প্রাঙ্গনে আয়োজিত আমাদের খাদ্যমেলা টেস্টিভাল (Testival)-এ। ধী-বৃত্তিকে সক্রিয় করার জন্যে থাকছে কলকাতার পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড ও স্থানীয় সপ্না বুক স্টোর্স এন্ড পাবলিশার্স-এর সহায়তায় আয়োজিত পুস্তকমেলা। আশা করছি এ পূজা সকলকে খুব আনন্দ দেবে।