টেমস নদীর পাড়ে কালে কালে অনেক ভারতীয় ডেরা বানিয়েছেন। সেখানে বাঙালিদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে দুই দিনও হয়নি। প্রত্যেক বাঙালির মনে বিষাদের সুর। তা দেশ হোক বা বিদেশ। এ বার ইউনাইটেড কিংডমের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের মা দুর্গার আরাধনার আয়োজন করেছিল ‘বিলেতে বাঙালি’র নামে একটি সংগঠন।
দেশ ছেড়ে যত দূরে যেতে হোক না কেন, মাটির গন্ধ ভুলে থাকা যায় না। সেই আবেগকে সঙ্গে রেখে কয়েক জন প্রবাসী বাঙালি মিলে একটি অনলাইন সংগঠন তৈরি করে নাম দেয় ‘বিলেতে বাঙালি’। নানা কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাঙালিরা এই সংগঠনের অংশ।
নিজেদের হারিয়ে যাওয়া দিন মনে করতে ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাঙালিয়ানা ও ভারতীয় সংস্কৃতির ধারা বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন পুজো-অনুষ্ঠান করে এই সংগঠন।
দুর্গা ও জগদ্ধাত্রী পুজো ও রথযাত্রার সঙ্গে সঙ্গেই পিকনিক, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সহ বছর জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান তারা করে। গত চার বছর ধরে বিদেশের এই বাঙালি সংগঠন দুর্গাপুজো করে আসছে। এই বছর ফেলথামের ফেলথাম অ্যাসেম্বলি হলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়।
২১ থেকে ২৪ অক্টোবর পুজো হয়েছে এখানে। এ বার দেশ থেকে নতুন প্রতিমা নিয়ে গিয়েছেন তারা। নতুন প্রতিমায় পুজো হয়েছে। নিয়মাচারে কোনও খামতি নেই। এমনটাই দাবি এই সংগঠনের। চার দিন ফ্যাশন শো থেকে নাচ, গানের অনুষ্ঠান করা হয়। এই সংগঠনের পুজোতে বাংলার কাঁথা শিল্পীদের কথা মাথায় রাখা হয়েছিল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।