Automobile

টায়ারের সুরক্ষায় নয়া প্রযুক্তি, গাঁটছড়া বাঁধছে ব্রিজস্টোন ও মাইক্রসফট

সম্প্রতি টায়ারের সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ভাবে মাইক্রোসফটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বিশ্ববিখ্যাত টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ব্রিজস্টোন। কী সেই প্রযুক্তি ?

Advertisement

জয়দীপ সুর

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২৯
Share:

গাড়ি গড়ায় চাকার উপরে। তাই গাড়ির ক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব চাকারই। যে কোনও গাড়ির জন্যই অত্যাবশ্যকীয় তার চাকার সঙ্গের টায়ার আর টিউব। এখন অবশ্য টিউবলেস টায়ার বেরিয়েছে। আর বেরিয়েছে চাকায় পেরেক জাতীয় কিছু ঢুকে ফুটো হয়ে গেলে তা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি। তবুও টায়ারের আয়ু আর চলার ক্ষমতা কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় চাকার অবিচ্ছেদ্য অংশ- ক্ষতবিক্ষত টায়ার।

Advertisement

সম্প্রতি টায়ারের সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ভাবে মাইক্রোসফটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বিশ্ববিখ্যাত টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ব্রিজস্টোন। কী সেই প্রযুক্তি ? এক কথায় বলতে গেলে আধুনিক এই প্রযুক্তির সাহায্যে পৃথিবীতে এই প্রথম চালক জানতে পারবেন, তিনি যে গাড়ি চালাচ্ছেন, সেটির চাকায় লাগানো টায়ারের অবস্থা ঠিক কেমন। প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, এর ফলে গাড়ি দুর্ঘটনা কমে যাবে ৩০ শতাংশ।

চাকার ক্ষতির তালিকায় থাকে মোটামুটি এই বিষয়গুলি- চাপ নিতে না পারার ক্ষমতা , নানা কারণে চলনক্ষমতার উপযোগী না হওয়া, চক্রাকার চেহারার পরিবর্তনের কারণে চলতে না পারার ক্ষমতা, আর চোরা ফুটোর কারণে হাওয়া কমে গিয়ে চাকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। এই সবক’টি ক্ষেত্রেই চালককে বার্তা দেবে আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: পরিশুদ্ধ বায়ু থেকে যাবতীয় নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি, আসছে এম জি গ্লস্টার প্রিমিয়াম এসইউভি

নতুন প্রযুক্তিতে ধরা পড়বে টায়ারের সব রকমের ক্ষতি

২০১২ সালে গাড়ির চাকার টায়ারের প্রেশার মাপার মাপকাঠি মেনে গাড়িকে রাস্তায় বার করা বাধ্যতামুলক হয়ে যাওয়ার পর থেকে টিপিএমএস ((tyre pressure monitoring systems) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছু টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। কিন্তু এই প্রযুক্তিতে এতদিন ধরা যেত না টায়ার কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বার ব্রিজস্টোনের সঙ্গে মাইক্রোসফটের এই গাঁটছড়ার ফলে এল এমন এক প্রযুক্তি ( যে প্রযুক্তিটি টায়ারে ব্যবহার করছে প্রস্তুতকারক সংস্থা )। এতে ধরা পড়বে টায়ারের সব রকমের ক্ষতি। এমভিসিপি ক্লাউড ফ্রেমওয়ার্কের ব্যবহার করে ব্রিজস্টোনের এই টায়ার সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়ে দেবে ওই ফ্রেমওয়ার্কে, যেখানে আগে থেকেই ওই সেন্সরের সব তথ্যের বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

এই নতুন প্রযুক্তিতে চালক মোবাইল বা গাড়ির ভিতরে থাকা একটি ডিজিটাল মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন, তার গাড়ির টায়ারের অবস্থা সেই মুহূর্তে ঠিক কেমন। এর জন্য টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাই গাড়ির মধ্যে লাগিয়ে দেবেন একটি ডিভাইস। যেটির সাহায্যে চালক জেনে যাবেন সব তথ্য। আর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের মনের মতো টিভিএস এনটর্ক ১২৫ রেস এডিশন স্কুটার

ফলে টায়ার নিয়ে আর চিন্তা নয়। ভয় কমবে বিপদেরও। এখন আপনার গাড়ির টায়ারের শরীর-স্বাস্থ্য কুশলে কি না, সেটা আগেভাগেই জেনে গিয়ে সুরক্ষার যেমন ব্যবস্থা করতে পারবেন, তেমনই নিশ্চিত হবে নিরাপদ সফরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement