Garchumuk

Kolkata Gateways: খুলে গিয়েছে পর্যটন কেন্দ্র, শহর ছেড়ে কোথায় যাবেন সপ্তাহান্তে

শহর ছেড়ে এ বার বেরিয়ে পড়ার পালা। পাহাড় হোক বা জঙ্গল, সপ্তাহের শেষটুকু কাটানোর উপযুক্ত জায়গা পেতে দূরে যেতে হবে না মোটেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:০৬
Share:
০১ ১৩

অতিমারি আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিলেও বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে বরবাদ করতে পারেনি। ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। তাই গৃহবন্দি বাঙালি ফের বেরিয়ে পড়তে পারে কাছের কোনও গন্তব্যে। পাহাড় হোক বা জঙ্গল, সপ্তাহের শেষটুকু কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা পেতে বহু দূর যেতে হবে না।

০২ ১৩

শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত গনগনি জায়গাটি দু’-তিন দিনের ছুটি কাটানোর জন্য চমৎকার। শীতকালে এই সফর সারা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। সূর্যাস্তের দৃশ্য এই জায়গায় বিরল অভিজ্ঞতা।

Advertisement
০৩ ১৩

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত গনগনিতে রয়েছে ৭০-ফুট গভীর প্রাকৃতিক গিরিখাত। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, এটি ছিল রাক্ষস বকাসুর এবং পান্ডব ভীমের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে তৈরি যা শিলাগুলিকে ভেঙে দেয়। চেহারা ও আকারে মূল খাত থেকে অনেক ছোট হলেও জায়গাটিকে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বলা হয়।

০৪ ১৩

গড়চুমুক পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় হুগলি ও দামোদর নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গঙ্গার দর্শনীয় দৃশ্য দেখতে দেখতে সপ্তাহান্তে ভ্রমণের জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি দামোদর এবং হুগলি এই দুটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত, যা স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে।

০৫ ১৩

গড়চুমুকের একটি চমৎকার হরিণ পার্কও রয়েছে। আপনি দামোদর এবং হুগলি নদীগুলির সঙ্গে সংযোগকারী সেচ খালগুলিও দেখতে পারেন। সর্বোপরি, গঙ্গা নদী এবং এর চারপাশের শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

০৬ ১৩

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের গৌরবময় অতীত তার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং হস্তশিল্প যেমন মৃৎশিল্প এবং তাঁতশিল্পে অনুকরণ করা হয়েছে। শহরটি সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতকে সমৃদ্ধ হয়েছিল, মল্ল রাজাদের অধীনে।

০৭ ১৩

বিষ্ণুপুর তার সুন্দর পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে মল্ল রাজারা ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তাঁদের ভক্তি প্রদর্শন করার জন্য বিশাল পোড়ামাটির মন্দির তৈরি করেছিলেন।

০৮ ১৩

মুরুগুমা, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী গ্রামগুলির মধ্যে একটি, পশ্চিমবঙ্গ এবং সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন নিয়মিত আসেন এখানে। মুরুগুমা পুরুলিয়া এবং ঝাড়খণ্ডের সীমানায় অবস্থিত। পুরুলিয়া এবং ঝাড়খণ্ড উভয় থেকেই গাড়িতে করে মুরুগুমা যাওয়া যায়।

০৯ ১৩

কেনকেচি হিল, মুরুগুমা হ্রদ এবং বন পরিদর্শন আপনার ভ্রমণ সার্থক করে তুলবে। মুরুগুমার কেনকেচি পাহাড় এই আদিবাসী গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ। তবে ঠাণ্ডার ধাত থাকলে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নিয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ মুরুগুমায় তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং রাতে নেমে যায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

১০ ১৩

দক্ষিণ সিকিমের আদিম প্রকৃতির মধ্যে শহরের ভিড় থেকে অনেক দূরে, ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় বোরং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নতুন নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। বোরং রাভাংলার কাছে একটি গ্রাম যা দক্ষিণ সিকিমে তার অবস্থান এবং নির্মল পরিবেশের কারণে ধীরে ধীরে ভ্রমণকারীদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করছে।

১১ ১৩

ঘন অরণ্য, তৃণভূমি এবং মাউন্ট পান্ডিম, মাউন্ট সিনিওলচু, মাউন্ট খাংচেন্দজোংহা এবং মাউন্ট কাব্রুর মতো তুষার আচ্ছাদিত চূড়ার বিস্ময়কর দৃশ্য অনেক ভ্রমণকারীকে বোরংয়ের দিকে টেনে আনে।

১২ ১৩

রূপার্ক গ্রামটি মাত্র বারো একর জায়গা নিয়ে ভ্রমণকারীদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি। শহর থেকে একটু দূরে নিরিবিলি ছুটি কাটাতে আপনি রওনা হতেই পারেন এই অঞ্চলের উদ্দেশ্যে।

১৩ ১৩

বালেশ্বরের কাছেই রয়েছে কুলডিহা অভয়ারণ্য, পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির, দেবকুণ্ড জলপ্রপাত। সব মিলিয়ে অল্প ক’দিন কাটানোর জন্য এটি উপযুক্ত জায়গা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement