Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

Haunted houses: ভূত, না কি বানানো গল্প? কলকাতার বিখ্যাত হানাবাড়িগুলিতে হানা দিয়ে দেখুন

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও মৃত্যুর পর আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন। এই বিশ্বাস অনেক বাঙালির মধ্যে আজও বর্তমান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:১৮

কলকাতা শহরে অনেক জায়গাই এমন রয়েছে যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে

ভূত আছে নাকি নেই, এই তর্ক কিন্তু চলে আসছে কোন আদ্যিকাল থেকেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও মৃত্যুর পর আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন। এই বিশ্বাস অনেক বাঙালির মধ্যে আজও বর্তমান। এবং কলকাতা শহরে অনেক জায়গাই এমন রয়েছে যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। এ সব হানাবাড়িতে একবার আপনিও ঢুঁ মেরে চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন করে আসতেই পারেন।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি

Advertisement

আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরি হল এই শহরের বিখ্যাত একটি ভুতুড়ে বাড়ি। অনেকের কাছেই শোনা গেছে যে, পায়ের শব্দ শুনতে পেলেও কাউকে দেখা যায় না অনেক সময়। কর্মীরাও নাকি এখানকার করিডরে ভারতের প্রাক্তন গভর্নর-জেনারেল চার্লস মেটকাফের স্ত্রীর বিদেহী আত্মার দেখা পেয়েছেন একাধিক বার। অদ্ভুত ভাবে এখানে বিদেশি ভূতেরই দেখা মিলেছে বেশ কয়েক বার।

রাইটার্স বিল্ডিং

কিন্তু কলকাতার হানাবাড়ির নামের তালিকায় রাইটার্স বিল্ডিংয়ের নামও পাওয়া যায়। কর্নেল সিম্পসন, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিনয়-বাদল দীনেশের গুলিতে নিহত হন, তাঁর আত্মার দেখা নাকি মিলেছে এখানে একাধিক বার। আশেপাশের অনেক মানুষই বলেছেন এখানে গভীর রাত্রে ফিসফিস করার শব্দ, পায়ের আওয়াজ, বক্তৃতার শব্দ ইত্যাদি শোনা যায়।

আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরি হল এই শহরের বিখ্যাত একটি ভুতুড়ে বাড়ি

আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরি হল এই শহরের বিখ্যাত একটি ভুতুড়ে বাড়ি


হেস্টিংস হাউস

বিখ্যাত গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের আবাস আজ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে স্বয়ং হেস্টিংসেরই পদধ্বনি শোনা যায় বলে কথিত আছে। তিনি নাকি কিছু কাগজপত্রের সন্ধানে বারবার এখানে ফিরে আসেন।প্রায় এক শতাব্দী আগে নাকি এখানে ফুটবল খেলতে গিয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় এখানে, সেও এই জায়গায় মায়া কাটাতে পারেনি বলে অনেকের বিশ্বাস।

পুতুলবাড়ি

উত্তর কলকাতার পুতুলবাড়ির কাহিনি এত বেশি প্রচারিত যে এখানকার বাসিন্দারা কৌতূহলীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এটি একটি পুরোনো জরাজীর্ণ ভবন যা প্রাচীন রোমান শৈলীতে তৈরি পুতুল দিয়ে সাজানো। বাড়ির গায়ে পুতুল যার আবদারে লাগানো হয়েছিল, মেয়েটিরও মৃত্যু হয় রহস্যজনক ভাবে। রাতে পুতুলবাড়ির উপরের তলা থেকে নারীকণ্ঠে আর্তনাদ এবং হাসি নাকি আজও শোনা যায়।

উইপ্রো বিল্ডিং

যদিও সল্টলেকের উইপ্রো ভবন একটি আধুনিক আইটি অফিস, তবুও বিভিন্ন কারণে এটি ভুতুড়ে বলে মনে করা হয়। এই বিল্ডিংয়ে কর্মরত নতুন প্রজন্মের উচ্চশিক্ষিত কর্মীরাও তাঁদের আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পুরো সল্টলেক এলাকাটি এক সময় জলাভূমি ছিল এবং বলা হয় যে বর্তমান উইপ্রো ভবনটি যেখানে নির্মিত হয়েছে, সেখানে একটি কবরস্থান ছিল। বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলাটি নাকি আজও খালি রয়েছে। এখানে মেঝে থেকে অদ্ভুত কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যাঁরা আজও এখানে গভীর রাত্রে কাজ করেন, তাঁরা বিভিন্ন ব্যাখ্যাতীত ঘটনার সম্মুখীন হন।

Advertisement