২। আপনি যদি বইপ্রেমী হন, তা হলে সন্ধ্যায় আপনার জন্য কলেজ স্ট্রিটের চেয়ে উপযুক্ত জায়গা আর কিছুই হতে পারে না। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার দু’ধারেই রয়েছে হরেক রকম বইয়ের দোকান। ফুটপাতে পুরনো বইয়ের দোকানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে আপনার চোখে পড়তে পারে দুষ্প্রাপ্য কোনও খনি। প্যারামাউন্টে গলা ভিজিয়ে দিলখুশা বা কালিকায় সন্ধ্যার খাবার খেয়ে আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কলেজ স্ট্রিটের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন, ক্লান্তি আসবে না।
৩। গঙ্গার ধারে ঘুরে বেড়াতে কে না চান! কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটের লাগোয়া রাস্তা স্ট্র্যান্ড রোড। সন্ধ্যা নামার পর শহরের আলোয় যেন আরও সুন্দর দেখায় এই রাস্তা। কোলাহল থেকে একটু নিজেকে সরিয়ে নিতে আপনি ঘুরে বেড়াতে পারেন এই প্রিন্সেপ ঘাটের লাগোয়া রাস্তায়। দূর থেকে দেখতে পারেন নদীর জলে আলোর খেলা, ব্রিজের ব্যস্ততা আর কলকাতার বুকে নেমে আসা মনোরম এক বসন্তের রাত।
৪। দক্ষিণ কলকাতার মানুষ কিন্তু রবীন্দ্র সরোবর বা ঢাকুরিয়া লেক ছাড়াও একটু নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াতে পারেন হিন্দুস্তান পার্কের রাস্তায়। গড়িয়াহাটের মোড়ের একেবারে কাছে এই অঞ্চলের গলি সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নিঝুম হয়ে পড়ে। দেখে আসতে পারেন সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন কিংবা ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। একটু জিরিয়ে নিতে পারেন ছোট কোনও ক্যাফেতে। এই সন্ধ্যা একেবারে অন্য রকম কাটবে, হলফ করে বলা যায়।
৫। যাঁরা শিল্পকলা পছন্দ করেন, তাঁরা অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের প্রদর্শনীগুলি দেখতে যেতে পারেন। বেড়িয়ে এসে হাঁটতে পারেন ক্যাথিড্রাল রোড ধরে। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল কিংবা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে দিয়ে যাওয়া সেই রাস্তা ধরে হাঁটলে চোখে পড়বে পুরনো কলকাতা কিছু স্থাপত্য। বসন্তের হাওয়ায় আলো-আঁধারির মধ্যে বিশেষ কোনও সঙ্গীর সঙ্গে কলকাতা শহরের আলো দেখতে দেখতে সারা দিনের কাজকর্মের ক্লান্তি একেবারে দূর হয়ে যাবে আপনার। আশপাশে হ্যারিংটন স্ট্রিট আর্টস সেন্টারেও হানা দিতে পারেন আন্তর্জাতিক শিল্পকলা চাক্ষুষ করার জন্য।