কলকাতা শহরকে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুই অংশে আলাদা ভাবে চেনে বাঙালি। এই শহরের বাসিন্দারা এই দুই দিকে খোঁজ করেন দুই ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির। বিখ্যাত এক সাহিত্যিকের মতেও, দক্ষিণ কলকাতায় যদি থাকে জৌলুস, উত্তরে তবে আছে প্রাণ। ফলে একটি গোটা দিন উত্তর কলকাতার আনাচেকানাচে ঘুরে এই শহরের প্রাণের স্পর্শ অনুভব করে দেখা যেতেই পারে। বুঝতে পারবেন নিজের শহরকেই এখনও কতটা জেনে ফেলা অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছে। অজানা এই খনির সন্ধান করতে বেরিয়ে বিশেষ বিশেষ কিছু জায়গার খোঁজ জানা থাকলে এই অভিযান ব্যর্থ হবে না আপনার।
টেরিটি বাজার
সাতসকালে বেরিয়ে পড়লে টেরিটি বাজার আপনার ক্ষুধা নিবারণের জায়গা হতেই পারে। কলকাতার পুরনো চায়না টাউন হিসেবে পরিচিত টেরিটি বাজার হল অভিবাসী চীনা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল এবং কলকাতার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি অপরিবর্তনীয় অংশ। প্রাতঃরাশের বাজার, যা সকাল ৬টায় খোলে, সেখানে আপনি পাবেন স্টিম্ড মোমো, চিকেন মোমো, ফিশ মোমো, পর্ক মোমো, চিকেন তাই পাও, শুমাই, সসেজ, প্রন ওয়েফার, হট স্যুপ নুডুলস, স্টিম্ড বাওজি বান, চিকেন রোল সসেজ, স্টাফড বান, শুয়োরের মাংসের রোল, ওয়ান্টনস ইত্যাদি বহু মুখরোচক খাবার।
বো ব্যারাক
চাদনি মেট্রো থেকে একটু দূরেই আপনি দেখতে পাবেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতে আসা আমেরিকান সৈন্যদের জন্য তৈরি বো ব্যারাক। কলকাতা বিশেষজ্ঞদের মতে, বো ব্যারাক এখন কলকাতায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের ক্ষয়িষ্ণু সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। এক সময় অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের একটি সমৃদ্ধ ঠিকানা এই বো ব্যারাকের লাল-ইট এবং সবুজ-জানালাওয়ালা ভবনগুলি কলকাতা শহরে তার পরিচিতি এবং আকর্ষণ এখনও ধরে রেখেছে। আপনি যদি বড়দিনের সময় এই শহরে থাকেন তবে বো ব্যারাকে এক বার পদার্পণ করতেই হবে। আলো ঝলমলে এই অঞ্চলটি স্মৃতিতে থেকে যাবে।