বিড়লা শিল্প ও প্রযুক্তি জাদুঘর
১৯৫৯ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য খোলা বিড়লা শিল্প ও প্রযুক্তি জাদুঘরটি ঘুরে দেখার মতোই। আপনার শিশুর বিজ্ঞান বিষয়ক নানা জিজ্ঞাসার নিরসন ঘটতে পারে এখানেই। ১২টি গ্যালারি জুড়ে বিস্তৃত এই জাদুঘর বিশ্বকে শিশুর কাছে নিয়ে আসে আশ্চর্য উপায়ে। ‘ফ্যাসিনেটিং ফিজিক্স অ্যান্ড মোটিভ পাওয়ার’ নামের গ্যালারিতে পদার্থবিদ্যা এবং শক্তির জগত সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য অর্জন করা যায়। গ্যালারির বিস্তৃত পরিসর ছাড়াও একটি ‘ইনোভেশন হাব’ রয়েছে। সেখানে উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল কার্যকলাপে নিযুক্ত হতে পারে শিশুরা।
নেহরু চিলড্রেনস মিউজিয়াম
১৯৭২ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নেহরু চিলড্রেনস মিউজিয়াম শিশুদের জন্য উপযুক্ত কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় জাদুঘর। জওহরলাল নেহরুর প্রতি উৎসর্গীকৃত এই জাদুঘরে পুতুলের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। বিশ্বের ৮৮টি দেশ থেকে অর্জিত পুতুলের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে এখানে। রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্য এবং ঘটনাকে চিত্রিত করা মাটির মডেলগুলি আপনার শিশুর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। জমকালো সংগ্রহ ছাড়াও, এই জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কোর্স এবং শিশুদের জন্য কর্মশালা এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সায়েন্স সিটি
বাইপাসের ধারে এই বিশাল এলাকাটি ভারতের বৃহত্তম বিজ্ঞান উদ্যান এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়াম দ্বারা পরিচালিত। প্রজাপতির বাগান, মহাকাশ থিয়েটার এবং একটি আর্থ এক্সপ্লোরেশন প্রেক্ষাগৃহ-সহ শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় তথা উপকারী একাধিক জিনিস রয়েছে এখানে। বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করে এ রকম বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী নিয়মিত চলে সায়েন্স সিটিতে। একটি বড় বিজ্ঞান উদ্যানও রয়েছে এখানে, যা আপনার বাচ্চাকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
আলিপুর চিড়িয়াখানা
শিশুদের আনন্দ দিতে কলকাতায় আলিপুর চিড়িয়াখানার জুড়ি মেলা ভার। আঠেরো শতকে প্রতিষ্ঠিত ভারতের প্রাচীনতম এই চিড়িয়াখানায় জেব্রা, হরিণ, গণ্ডার, বাঘ, হাতি, খরগোশ, বেবুন, সিংহ-সহ প্রায় ১৩০০ প্রাণী রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। কলকাতা তো বটেই, বহু দূর-দুরান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষ এই চিড়িয়াখানা দেখতে আসেন। বাচ্চাদের জন্য এই অভিজ্ঞতা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এবং স্মরণীয় হয়ে থেকে যায়।