“ঘড়ি বলে নাস্তা এবার, ঘড়ি করায় স্নান/ সকাল বেলার জাগনাটাও ঘড়ির অবদান” – প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজনের সময়টা ক্ষিধের থেকেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক করে ঘড়ি। ঘড়ি ছাড়া যেন জীবন অচল। যদিও মোবাইলের যুগে হাতঘড়ি পরার চল ধীরে ধীরে উঠেই যাচ্ছে। তবু আগের মতোই চল রয়েছে দেওয়াল ঘড়ির। দেওয়াল ঘড়ি দিয়েও যে ঘর সাজিয়ে আপনি শৌখিনতার পরিচয় দিতে পারেন, তা কি আপনি জানেন? নানান রঙের দেওয়ালে নানান রকমের ঘড়ি টাঙিয়ে বদলে দিতে পারেন ঘরের চেহারা। চলুন জেনে নেই, কী ভাবে দেওয়াল ঘড়ি দিয়ে ঘরের নতুন ‘মেকওভার’ আনা যায়।
দেওয়াল সাজছে ঘড়িতে, কলকাতার নতুন অন্দরসজ্জা
প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজনের সময়টা ক্ষিধের থেকেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক করে ঘড়ি।
আপনাকে প্রথমেই দেখে নিতে হবে আপনার ঘরের রং। সেই রং ও আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনাকে কিনতে হবে দেওয়াল ঘড়ি। তা ছাড়াও কোন ঘড়িটি কিনবেন, তা অনেক সময়ে নির্ভর করে ঘরের আসবাবপত্রের উপরেও। ধাতুর আসবাবপত্র ঘরে বেশি থাকলে বেশি মানাবে ধাতব ঘড়ি, তা যে কোনও রঙেরই হতে পারে তা। আবার দেওয়ালের রং একেবারে সাদা এবং ঘরে কাঠের আসবাবপত্র থাকলে ঘড়িটিও যদি কাঠের হয়, তবে বেশ মানানসই হয় ব্যাপারটা। আবার দেওয়াল কাঠের হলে ঘড়িটিকে হতে হবে ধাতব ফ্রেমের। বসার ঘরের ক্ষেত্রে রাখতে পারেন একটি বিশাল বড় সাবেকি পেন্ডুলাম ঘড়ি। তা হলে ব্যাপারটা খানিকটা নস্টালজিক হয়ে উঠবে। এ ছাড়াও আপনি আপনার শোওয়ার ঘরে রাখতে পারেন ফোটোফ্রেমের ঘড়ি, তাতে পারিবারিক ছবিও যুক্ত করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন আপনার ঘরটিকে।
আপনি যদি একান্তই ঘড়ির ব্যাপারে শৌখিন হয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে একটি গোটা দেওয়াল ফাঁকা রাখতে পারেন, তাতে টাঙিয়ে দিতে পারেন আপনার সবক'টি প্রিয় ঘড়িকে। গোটা দেওয়াল হয়ে উঠবে অভিনব চেহারার।
এই ভাবে কেবল মাত্র ঘড়ি দিয়েই আপনি আপনার ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন খুব সহজেই।