ডালিয়া
কলকাতা শহরে ফুলগাছ নিয়ে নিয়মিত যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই শীতের ডালিয়া নামের ফুলের কথা জানেন। মরসুমি ফুল হিসেবে সারা দেশেই এর কদর রয়েছে। মাটির প্রায় আট থেকে বারো ইঞ্চি গভীরে এই ফুলের চারা পুঁতে দিতে হয়। এবং অল্প রক্ষণাবেক্ষণেই আপনার বাগানে কিংবা ছাদে এই ফুলের গাছ রঙিন করে দিতে পারে আপনার সকাল।
পেটুনিয়া
শীতের দেশের ফুল হলেও পেটুনিয়া এখন উপযুক্ত তদারকিতে কলকাতার আবহাওয়াতেও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। নানা রঙের এক ঝাঁক পেটুনিয়া শুধু যে আপনার বারান্দা বা ছাদের ধারকে আকর্ষণীয় করে তুলবে, তা ই নয়, মন ভাল রাখতেও এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার।
চাঁপা ফুল
চাঁপা ফুলের কথা সারা পৃথিবীর বহু কবি সাহিত্যিক নিজের নিজের লেখায় লিখে গিয়েছেন। কিন্তু বাঙালির মতো করে চাঁপা ফুলকে বিশেষ মর্যাদা বোধহয় কেউই দেয়নি। চাঁপা ফুলের অপূর্ব সৌরভ আমাদের বড্ড প্রিয়। শহরের ধুলো, ধোঁয়া, দূষণের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে বাড়ি ফেরার পর বাগানের চাঁপা ফুলের গন্ধ নিমেষে ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। বর্ষাকালে চাঁপা ফুল ভালো ফুটলেও শীতকালেও বিশেষ করে কাঠচাঁপা কলকাতাবাসীর কাছে বিশেষ আদরের একটি ফুল।
গাঁদাফুল
গাঁদাফুল আমরা কে না চিনি! উৎসব-অনুষ্ঠানে, পূজা-অর্চনায় এই ফুলের প্রয়োজন পড়ে বারবার। এই গাঁদাফুল বাগানে রাখা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। তবে কলকাতা শহরে যাঁরা ফুলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ফুলগাছের যত্ন করতে পারেন, নিজের ছাদবাগানে বা বারান্দায় তাঁরা লাগিয়ে ফেলতেই পারেন হলুদ, কমলা, সাদা বিভিন্ন রঙের গাঁদা ফুল।
অর্কিড
অর্কিড এখন কলকাতার ফুলপ্রেমী মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণের। এবং শীতকালে রংবেরঙের অর্কিড আপনার বাগানকে উজ্জ্বল করে রাখতে পারে। শুধু দরকার অল্প একটু দেখাশোনার। শীতের মাসগুলিতে বেশির ভাগ অর্কিডই তাদের বৃদ্ধিকে শ্লথ করে দেয়, এমনকি সুপ্ত অবস্থায়ও চলে যায়। তাই প্রতি সপ্তাহে জল দেওয়ার পরিবর্তে শীতকালে প্রতি ১০ দিন অন্তর অর্কিডগুলিকে জল দেওয়াই ভাল।