যুগের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদেরও মানসিকতা বদলায়। তাদেরও একান্ত পরিসর এই যুগে খানিকটা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। জেনে নিন, কী ভাবে আপনি আপনার সন্তানের ঘরের চেহারা বদলে দিয়ে তাদের একটি সারপ্রাইজ দিতে পারেন। সন্তানকে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে আপনি এই কাজটি করে ফেলতে পারেন। নিজের ঘরকে নতুন চেহারায় পেয়ে আপনার সন্তান আনন্দ পাবে, নিশ্চিত। একটা সময়ের পর থেকে একা সময় কাটানো প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। এই একা কাটানো সময় এনে দিতে পারে সৃজনশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ। বাচ্চাদেরও এই সুযোগটি দেওয়া উচিত, যাতে তার তাদের চিন্তাভাবনায় নতুন মোড় আসে।
ছোটদের ঘরের অন্দরসজ্জা কেমন? কলকাতা খুঁজছে উত্তর
নিজের ঘরকে নতুন চেহারায় পেয়ে আপনার সন্তান আনন্দ পাবে, নিশ্চিত।
ছোটদের গৃহসজ্জার নানান উপায়:
প্রথমে ঘরের রঙের মধ্যে বদল আনতে হবে। আপনার সন্তানের প্রিয় রং লাগিয়ে দিতে পারেন ঘরের দেওয়ালগুলিতে। যদি একাধিক রং পছন্দ হয়ে থাকে তবে এক একটি দেওয়ালে সুন্দর কম্বিনেশনে আলাদা আলাদা রংও আপনি লাগিয়ে দিতে পারেন।
ঘরের মধ্যে একটি কোনায় রাখতে পারেন বিছানাটিকে, ঘর যদি বড় হয়ে থাকে, তবে একটি ঘরের মাঝখানে রেখে দিন খাটটিকে। খাটের চারদিকে টাঙিয়ে দিন মশারিস্বরূপ সাদা পর্দা। অথবা পর্দা ছাড়াই রেখে দিন খাটটিকে। খাটের উপর রেখে দিন মোটা গদি অথবা ম্যাট্রেস। তার ওপর বিছিয়ে দিন আপনার সন্তানের প্রিয় কার্টুন চরিত্র আঁকা একটি সুন্দর চাদর। অথবা বিছিয়ে দিন আপনার সন্তানের ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই কোনও চাদর।
ঘরের একটি কোনায় রেখে দিন একটি টেবিল। টেবিলের উপরের দিকে একটি তাকের ব্যবস্থা করুন। যেখানে বাচ্চার বইপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকতে পারে। টেবিলে কম্পিউটার রাখতে পারেন। রাখতে পারেন কিছু বই, একটি কলমদানি। পাশে একটি ছোট গাছের চারাও রেখে দিতে পারেন।
ঘরের মধ্যে অন্য এক কোনায় রাখতে পারেন আলমারি। নিজস্ব আলমারি কে-ই বা না পছন্দ করে। আলমারিতে সেঁটে দিতে পারেন কিছু পছন্দসই স্টিকার। দেওয়ালগুলোর ক্ষেত্রেও আপনি তা করে দেখতে পারে। আপনার সন্তান যেসব ব্যান্ডের গান শোনে, অথবা যেইসব চলচ্চিত্র দেখে সেখান থেকে তার প্রিয় চরিত্রদের ছবি এনে সেঁটে দিতে পারেন ঘরের দেওয়ালগুলিতে।
দেওয়ালে সামান্য মৃদু স্নিগ্ধ আলোর বিন্যাসও রাখতে পারেন আপনি।
এই ভাবেই সাজিয়ে ফেলুন আপনার সন্তানের ঘর এবং সারপ্রাইজ দিন আপনার সন্তানকে।