রাস্তার ধারেই আছে মুশকিল-আসান
বাসে, ট্যাক্সিতে বা গাড়িতে যাতায়াত করতে করতে কলকাতার বড় বড় রাস্তার এক-এক ধারে আমাদের অনেকেরই চোখে পড়ে চিনে মাটির তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসের বিপুল সম্ভার। একটু সময় নিয়ে দাঁড়ালে দেখা যাবে, এখানে রয়েছে বাসনপত্র থেকে শুরু করে ফুলের টব, ঝোলানো ঘণ্টা, ওয়ালহ্যাংগিং প্লেট, কারুকাজ করা মূর্তি ইত্যাদি আরো কত কি! বাইপাস, লেকটাউন, যশোর রোডের ধারে এমন বেশ কিছু জায়গা আছে যেখানে কারিগররা রাস্তার ধারেই তাঁবু খাটিয়ে বাস করেন সপরিবারে। এবং সবাই মিলে প্রতিদিন পরিশ্রম করে শৌখিন ক্রেতাদের অন্দরসজ্জার জন্য তৈরি করেন এসব জিনিস।
গড়িয়াহাটকে ভুলে গেলে চলবে না
চিনেমাটির জিনিস, বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, ফ্যাশনেবল পর্দা, দেওয়ালে টাঙানোর ছবি, হরেক রকমের আলো— এই সব জিনিস আপনি পেয়ে যেতে পারেন গড়িয়াহাটের বিশাল বাজার চত্বরে। আপনার পছন্দের বহু তারকাই কিন্তু অনেক বছর ধরে এই গড়িয়াহাটে খুঁজে নেন নিজের নিজের পছন্দের ঘর সাজানোর জিনিস। এখানে আপনি পাবেন ছোট থেকে বড়, নতুন থেকে সাবেকি, অন্দরসজ্জার বিবিধ উপকরণ। সারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এখন সারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন কারিগরেরা তাঁদের নিজস্ব কাজ বিক্রির জন্য এখানে পাঠিয়ে দেন। জহুরির চোখ থাকলে এসব জিনিসের মধ্যে থেকে আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন অল্প ব্যয়েই ঘর সাজানোর এমন অনেক কিছু যা বাসস্থানের চেহারা করে ফেলবে আগাগোড়া অন্য রকম।
বৈচিত্র্য পেতে যেতেই হবে দক্ষিণাপণ
অন্দরসজ্জায় শৈল্পিক স্পর্শ আনতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে গড়িয়াহাট থেকে অল্প একটু দূরের দক্ষিণাপণ শপিং কমপ্লেক্স। এখানে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত দোকান রয়েছে যেখানে সারা ভারতবর্ষের নিজস্বতার ছোঁয়া আপনি পাবেন সহজে। গুজরাটি কারুকাজের পর্দা, ওয়ালহ্যাংগিং, ওড়িশার বেশ কিছু অন্দরসজ্জার জিনিস, কাশ্মীরি কাজের বাক্স, চাদর, বাঙালি ছৌ নাচের মুখোশ, রাজস্থানি কাজের বিছানার চাদর, কুশন, ছোট আলমারি, পূর্ব ভারতের মাদুরের তৈরি ছোটখাটো জিনিস, দক্ষিণ ভারতীয় আয়না প্রভৃতি আপনি পেয়ে যাবেন এই চত্বরে। পকেটে বিশেষ টান না ফেলে নিজের ঘরে ব্যতিক্রমী আবেদন আনতে চাইলে কলকাতার মানুষকে দক্ষিণাপণে একবার অন্তত পদার্পণ করতেই হবে।