Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২৫ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

বাঙালি পাতে মাখনের রমরমা, এই অভ্যাস ভাল নাকি খারাপ?

! কিন্তু কোলেস্টেরল আর ফ্যাটের ভয়ে অনেকেই মাখন পরিহার করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:২৩

মাখন খেতে আমরা বাঙালিরা কে না ভালোবাসি! কিন্তু কোলেস্টেরল আর ফ্যাটের ভয়ে অনেকেই মাখন পরিহার করছেন। উপকারিতার পাশাপাশি অজস্র কিংবদন্তি প্রচলিত মাখনকে ঘিরে। কোনটা সত্যি আর কোনটা নয়, এ নিয়ে বিভ্রান্তি মানুষের মনে স্বাভাবিক। সম্প্রতি চিকিৎসক জে পি ফ্রেকেলটন এবং ক্র্যান্টন 'জার্নাল অব হোলিস্টিক মেডিসিন'-এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন।

Advertisement



জেনে নেওয়া যাক, কী বলছেন তাঁরা।

১. চোখের পক্ষে ভাল– মাখনে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এটি আমাদের চোখের পক্ষে অত্যন্ত ভাল এবং এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারে।

২. হাড়ের পক্ষে ভাল– মাখনের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এমনকি অস্টিওপরেসিস অর্থাৎ হাড়ের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, কারণ এর মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে।

৩. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়– মাখনে থাকে ভিটামিন ই। এর ফলে ত্বক অতিবেগনি রশ্মি থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও জ্বলন কমায় ও ত্বককে আরও ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৪. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে– প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন থাকে মাখনের মধ্যে। এর ফলে ক্যানসার প্রতিরোধ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়াও স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে শক্তিশালী ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে।

৫. থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে– মাখনে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে, যার ফলে মাখন গয়টারের মতো রোগের আশঙ্কা কমাতে পারে।

এছাড়াও মাখন আর্থ্রারাইটিসের আশঙ্কা কমায়। পাকস্থলীর রোগ কমাতে সাহায্য করে।

কিন্তু মাখন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত মাখন খাওয়া সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে অনায়াসে। মাখন অবশ্যই খান, কিন্তু চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন কতটা খাবেন।



Tags:

Advertisement