ঘুম ভাঙার পর এলোমেলো বিছানা গুছিয়ে নিন। বাড়িতেই কাটাতে হলে অনেক সময়ে দিনের পর দিন বিছানা ঠিক করাই হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া আরামপ্রিয় বাঙালির খাওয়া থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, সবই প্রায় হয় বিছানায় বসেই। এই সময়ে অগোছাল বিছানা ক্রমশ অবসাদ ডেকে আনে। বরং প্রত্যেক দিন ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা নিজে গুছিয়ে ফেললে চনমনে ভাব আসে মনে। মানসিক ক্লান্তিও উবে যায় অনেকটা।
বিশেষ স্মৃতিচিহ্ন রাখুন আশপাশে
আমাদের জীবনের সুখস্মৃতি গুলি মনকে চাঙ্গা করে তোলে অনেকখানি। ফলে যদি দিনের পর দিন ঘরের মধ্যে থাকতে হয়, তবে আশপাশে রাখুন এমন স্মৃতিচিহ্ন। প্রিয়জনের সঙ্গে পুরনো ছবি, বিশেষ মানুষের দেওয়া উপহার, ছোটবেলার খেলনা— এই সব জিনিস যদি আশপাশে রাখেন, তবে ঘরে থাকলেও মন খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকবে না একেবারেই।
নিয়ামনুবর্তী হোন
ঘরের মধ্যে দিন কাটাতে হলে অনেক মানুষই একেবারে স্বাভাবিক রুটিন মানতে পারেন না। ঠিক সময়ে খাওয়া, স্নান, পড়াশোনা, শরীরচর্চা এবং অবশ্যই ঘুম— এই নিয়ম না মানলে শরীর খারাপ হবেই। মনও ক্রমশ নেতিবাচক এই অবস্থার সঙ্গেই খাপ খেয়ে যাবে। যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরেই প্রভাব ফেলবে। ফলে একটু নিয়ম মেনে দিন কাটান বাড়ির মধ্যেও। রাতে জেগে থাকা এবং দিনের বেলা ঘুম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন যতদূর সম্ভব।
মন ভাল রাখার জন্য উদগ্রীব হবেন না
কলকাতার এই আবহাওয়ায় ঘরবন্দি থেকে অনেকেই মন ভাল না-ও থাকতে পারে এই আশঙ্কায় ভোগেন। ফলে বিষন্নতাকে দূরে ঠেলে প্রসন্ন থাকতে অতিরিক্ত চেষ্টা শুরু করেন এমন মানুষজন। কিন্তু জেনে রাখা প্রয়োজন এতে আখেরে লাভ কিছু হয় না। বরং একটা সময় পর হতাশা গ্রাস করে ভীষণ ভাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সাহচর্য কমান
বাড়িতে থেকে কী করবেন তা ঠাহর না করতে পেরে অনেকেই আশ্রয় করেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। দিনভর অন্যান্য মানুষের জীবনচর্যার খোঁজ করতে গিয়ে কখন শেষমেষ নিজের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যহানি হয়ে পড়ে, আমরা টেরই পাই না। ফলে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বরং এই সময়টুকু নিজের সঙ্গে কাটান। সব দিক থেকেই উপকৃত হবেন।