ঘিয়ের নাম শুনলে অনেকেই মনে করেন, ওজনটা বুঝি বেড়ে গেল হঠাৎ করে। কিন্তু ঘি কি শুধু ওজন বাড়িয়ে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি সঞ্চয় ঘটায়? বাঙালি বাড়িতে কিছু রান্না তো ঘি ছাড়া অসম্ভব। তখন কী করবেন? ভয়ে সেই পদ এড়িয়ে চলবেন, নাকি নির্ভয়ে গ্রহণ করবেন? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘি শুধু ওজন বাড়ায় না। তার অনেক উপকারিতাও রয়েছে পাশাপাশি। এম. ডি চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানালেন, “ঘি মানেই যে খারাপ, তা নয়। ঘিয়ের অনেক ভাল গুণও রয়েছে। ঘিয়ের মধ্যে থাকা পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সুস্থ থাকার সহায়ক।“
শহরবাসীর পছন্দের ঘি কি আদৌ শরীরের জন্য ভাল?
ঘি শুধু ওজন বাড়ায় না। তার অনেক উপকারিতাও রয়েছে পাশাপাশি।তবে ঘি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণেই নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত।
ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।
এ ছাড়াও ঘি আরও কিছু কাজ করে। যেমন –
১. শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে – ঘিয়ের মধ্যে থাকা উপাদান শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে শীতকালে বেশি করে ঘি খাওয়া শরীরের পক্ষে মন্দ নয়।
২. কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক – ঘিয়ের মধ্যে থাকা ওলেয়িক অ্যাসিড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৩. অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের আশঙ্কা কমাতে সহায়ক – ঘিয়ের মধ্যে থাকা স্টেরিক অ্যাসিড অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো ধমনীর অসুখের আশঙ্কা অনেকটাই কমাতে পারে। ঘি হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে বাঁচিয়ে রাখে অনেকটাই।
৪. কোলন কোষের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক – ঘিয়ের মধ্যে থাকা বাটাইরিক অ্যাসিড কোলন কোষের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
৫. পুষ্টিগুণে ভরপুর – ঘিয়ে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই থাকে বলে তার পুষ্টিগুণ যথেষ্ট।
৬. হজম ক্ষমতা বাড়ায় – ঘিয়ের বাটাইরিক অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে ঘি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণেই নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। গরমকালে ঘি খাওয়া কমাতে পারলে ভাল।