লকডাউনের সময় ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম খুললেই একের পর এক শুধু উমদা খাবারের ছবি। কেউ বানাচ্ছেন বিরিয়ানি, কারোর ওয়ালে শুক্তো, কেউ বানাচ্ছেন রসগোল্লা, কেউ মিষ্টি দই। কেউ একেবারে পুরো দেশ পেরিয়ে কন্টিনেন্টাল বা মেক্সিকান ডেলিকেসিতে হাত পাকিয়েছেন। সব ছবি দেখে মনে হবে, পাক্কা রাঁধুনির হাতে তৈরি। যে মানুষটি নানাবিধ খাবার খেয়ে শুধু টিপ্পনি কাটতেন, তিনিও কিনা হাতা-খুন্তি ধরে পাকঘরে। বোরডম কাটাতে হোক বা নতুন কিছু ট্রাই করতে, রান্নাঘরই তখন বাড়ির সব থেকে হ্যাপেনিং আস্তানা হয়ে উঠেছিল।
নানা ধরনের অ্যাআপের কারিকুরি হোক বা হাতযশ, রান্নাগুলো সবই ছিল একেবারে যাকে বলে পিকচার পারফেক্ট। ভাবতেই অবাক লাগে ,প্রত্যে্কটি মানুষ কেমন করে এমন ‘পটিয়সী’ হলেন? সবাই কি রাতারাতি রান্না করতে শিখে গেলেন নাকি? সহজ উত্তর— ইউটিউব। সেই হল মাস্টার শেফ।
একটা সময় ছিল যখন প্রতিটি গৃহিণীর কাছে কোনও না কোনও রান্নার বই মজুত থাকত। সে প্রজ্ঞাসুন্দরীর ‘আমিষ ও নিরামিষ আহার’ হোক বা লীলা মজুমদার বা বেলা দে-র রেসিপি বই। বইমেলা বা বইয়ের দোকানেও সারি সারি রান্নার বই সাজানো থাকত। এর পর এল টেলিভিশন শো। রান্না দেখে রান্না করা। সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে রন্ধন বিশেষজ্ঞরা একের পর এক ইউটিউব চ্যা্নেল খুলতে শুরু করলেন। সেলিব্রিটি শেফ থেকে নানা রেস্তরাঁর পাচকগণ সব্বার চ্যাানেলে নানাবিধ পাকপ্রণালী। ক্রমে এমন জনপ্রিয় হতে লাগল ইউটিউব চ্যাকনেল যে আম আদমি বলুন বা নক্ষত্র, সবারই একটি করে চ্যাতনেল হাজির। আর তাই দেখে যে ফুলবাবুটি গ্যাবস পর্যন্ত জ্বালাতে জানতেন না, তিনিও কিনা তৈরি করে ফেললেন মাটন কোরমা।