অতিমারি কলকাতার মানুষকে যে ভাবে কাবু করে ফেলেছে তাতে আমাদের মধ্যে অনেকেরই খাবারে রুচি চলে গিয়েছে একেবারে। বাঙালির মতো ভোজনলোলুপ জাতির পক্ষে এই অবস্থা কতটা কষ্টকর তা অনুমান করা যেতে পারে। এই শহরেই কয়েক পা অন্তর অন্তর রয়েছে বিভিন্ন স্বাদের একাধিক মুখরোচক খাবারের দোকান। অথচ একে সংক্রমণের ভয়, তার উপর মুখের অরুচি, সব মিলিয়ে কী খাবেন না খাবেন তা নিয়ে ধন্দ কাটতে চায় না। কলকাতার বিশ্ববিখ্যাত স্ট্রিটফুড বা রাস্তার খাবার কিন্তু আপনার মুশকিল আসান করতে পারে নিমেষেই। মুখে রুচি আনতে এবং বাঙালির খাদ্যপ্রেমিক তকমা বজায় রাখতে এই শহরের নানা রাস্তার বিবিধ খাবারে মঝে মধ্যে পেটপুজো করতেই পারেন আপনি। তবে অতিমারির সাম্প্রতিক ছায়া সরে গেলেই এই অভিযান বাঙালির জন্য সুবিধাজনক।
ফুচকা
কেউ বলেন পানিপুরি, কেউ বলেন গোলগাপ্পা। তবে কলকাতার মানুষ এই খাবারকে চেনে আদি অকৃত্রিম ফুচকা নামেই। ভিতরে মশলা মাখা আলুর সঙ্গে তেঁতুলজল দেওয়া ফুচকা নিঃসন্দেহে আজও কলকাতার সেরা স্ট্রিটফুড। এখন তো চাটনি ফুচকা, দই ফুচকা, মাংস ফুচকা এমনকি আইসক্রিম ফুচকা এই শহরের ফুচকাপ্রেমীদের পাতে জায়গা করে নিয়েছে। দেশের অনেক নামী-দামি রেস্তঁরায় এখন বিভিন্ন প্ল্যাটারেও মেলে কলকাতার ফুচকা। কিন্তু প্রিয় মানুষদের সঙ্গে আড্ডা মারতে মারতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আনন্দ বাঙালি ছাড়া কেউই অনুভব করতে পারবেন না। কলকাতা শহরে বিবেকানন্দ পার্ক, বাসন্তী দেবী কলেজের সামনে, দক্ষিণাপণের সামনে, ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের কাছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে, রাসেল স্ট্রিটে, নিউ আলিপুরের রয়েছে এই শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী ফুচকার দোকান।