Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

Delicious Momo Joints: কোনও নামী বিপণির নয়, কলকাতার অলিগলিতে পেয়ে যাবেন শহরের সবচেয়ে সুস্বাদু মোমো

মোমো এখন সারা দেশেই জনপ্রিয়। কলকাতাতেও চটজলদি, সস্তা, মুখরোচক খাদ্য হিসেবে গত কয়েক বছরে মোমো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:২৪

কলকাতা শহরে চটজলদি, সস্তা, মুখরোচক খাদ্য হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে মোমো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তিব্বতে ‘মোমো’ শব্দের অর্থ সেদ্ধ করা বান বা রুটি। এটি ময়দার ভিতর নানা রকম পুর দিয়ে পরিবেশন করা হয়। যেমন মাংস, সব্জি, পনির ইত্যাদি। মোমো মূলত ডাম্পলিং বা ডিমসামের আরেকটি রূপ। তিব্বতি এই খাবারটি ভুটান, নেপাল, লাদাখ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মোমো এখন সারা দেশে, বিশেষ করে দেশের উত্তর ভারতে স্ট্রিট ফুডের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

কলকাতা শহরেও চটজলদি, সস্তা, মুখরোচক খাদ্য হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে মোমো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোমো রান্না এবং খাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। ভাপানো ছাড়াও অনেক সময় মোমোগুলিকে রান্না করার পরে ভাজা হয় এবং ফ্রায়েড মোমো হিসাবে খাওয়া হয়। আরও এক রকম, প্যান-ফ্রাইড মোমো যেখানে মোমোগুলি ভাপানোর পর, সেগুলিকে আবার একটি ভিন্ন স্বাদ দেওয়ার জন্য সস দিয়ে রান্না করা হয়। আরও একটি বিখ্যাত বৈচিত্র হল কোথে মোমো, এটি একটি নেপালি ধাঁচের খাবার। কলকাতা শহরে অল্প দামেই বিভিন্ন জায়গায় এই মোমো আপনি পেতে পারেন। দামে সস্তা হলেও স্বাদ নিয়ে কোনও কথা হবে না।


ডেনজং কিচেন
কালিম্পঙের এক ছাত্র কলকাতায় কাজের সূত্রে এসে কয়েক বছর আগে ডেনজং কিচেন তৈরি করেন। এখন কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় এর শাখা থাকলেও যাদবপুরের এইট বি মোড়ের কাছের ডেনজং কিচেনে আপনি পাবেন সস্তায় সুস্বাদু মোমো। ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই অল্প দামে পেট ভরানোর মতো মোমো এখানে পাওয়া যাবে সকাল থেকে প্রায় রাত পর্যন্ত। এবং শুধু ষ্টিমড মোমো নয়, চাহিদা মতো ফ্রায়েড এবং প্যান-ফ্রায়েড মোমোও মিলবে এই দোকানে।

Advertisement
 সল্টলেকে আশেপাশেই রয়েছে জনপ্রিয় কিছু মোমোর দোকান

সল্টলেকে আশেপাশেই রয়েছে জনপ্রিয় কিছু মোমোর দোকান


সল্টলেক
যারা নিরামিষ খান, তাঁরা ভেজ মোমো খাওয়ার জন্য ঢুঁ মারতেই পারেন সল্টলেকে করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছের মোমোর দোকানে। নানা সব্জির পুর দিয়ে তৈরি মোমো পেটের সঙ্গে আপনার মনও ভরাবে নিশ্চিত। সুস্বাদু স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা গরম গরম মোমো শীতের সন্ধ্যা জমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও সল্টলেকে আশেপাশেই রয়েছে জনপ্রিয় আরও কিছু মোমোর দোকান। বিভিন্ন ধরনের মোমো ছাড়াও আপনি অল্প তেলে ভাজা চিকেন ফ্রাই বা পকোড়া পেয়ে যেতে পারেন কম দামেই।

টিবেটান ডিলাইট
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা শহরে ভোজনবিলাসীদের প্রিয় একটি জায়গা টিবেটান ডিলাইট। ভবানীপুরের ছোট একটি গলির মধ্যে এই দোকানে আপনি মোমো ছাড়াও তিব্বতি বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার পাবেন, অথচ পকেটেও টান পড়বে না তেমন। এই এলাকার কলেজের ছাত্রদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই দোকানটি। এখানকার প্যান-ফ্রায়েড সেজওয়ান মোমোগুলি কিন্তু প্রশংসা পেয়েছে খ্যাতনামীদেরও। পর্ক মোমো , সেজওয়ান সস দেওয়া স্টিমড, ফ্রায়েড এবং প্যান-ফ্রায়েড মোমো খেতে প্রতি দিনই এখানে ভিড় জমান নানা বয়সের মানুষ।

চাইনিজ এবং তিব্বতি খাবারের ভক্তরা টেরিটি বাজারে হানা দিয়েছেন নিশ্চিত

চাইনিজ এবং তিব্বতি খাবারের ভক্তরা টেরিটি বাজারে হানা দিয়েছেন নিশ্চিত


হামরো মোমো
বেশ কিছু বছর ধরে কলকাতায় থাকা সত্ত্বেও অল্প কয়েকজন ভোজনবিলাসী বাঙালি ছাড়া এই ছোট্ট দোকানটির সন্ধান প্রায় কেউই রাখেন না। হামরো মোমো সুস্বাদু তিব্বতি খাবারের স্বর্গ। বিশেষ করে পর্ক মোমো পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁদের অবশ্যই এক বার ঘুরে আসা উচিত এই দোকানটিতে। এ ছাড়াও এলগিন রোডের ছোট্ট এই দোকানে আপনি পাবেন বিভিন্ন সুস্বাদু স্যুপ। সুতরাং শীতের সন্ধ্যায় একটু অন্য রকম খাবারের খোঁজে আপনি হানা দিতেই পারেন এখানে।

শিম শিম
পার্ক সার্কাসের অদূরে একটি গলিতে অবস্থিত, এই ছোট্ট, সাধারণ ভোজনশালার বিশেষত্ব হল তিব্বতি ক্যুইজিনের চমৎকার কিছু খাদ্য৷ এখানকার খাদ্যতালিকায় আপনি পাবেন থুকপা, ফালে, বিভিন্ন ধাঁচের মোমো, চাউমিন এবং নানা রকম ফ্রায়েড রাইস। মেনুতে সেরা খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে পাইপিং হট বিফ মোমো যা প্রত্যেকদিনই সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। ঝাঁ চকচকে অন্দরসজ্জার আরাম না থাকলেও এখানকার মোমো পেটুক কলকাতাবাসীর রসনাকে তৃপ্ত করতে পারবে নিশ্চিত।


টেরিটি বাজার
কলকাতা শহরের মানুষ যাঁরা চাইনিজ এবং তিব্বতি খাবারের ভক্ত তাঁরা টেরিটি বাজারে একবার না একবার হানা দিয়েছেন নিশ্চিত। ভোর থেকেই এখানে সারি সারি মানুষ মোমো, স্যুপ এবং থুকপা নিয়ে রাস্তার ধারে বসে যান। এবং এখানে জলখাবার হিসেবে আপনি পাবেন বিভিন্ন ধরনের মোমো। গরম গরম সুস্বাদু এই স্টিমড মোমো একটি-দুটি খেয়ে কারোরই মন ভরে না। ফলে পৌঁছতে দেরি করলে মুখরোচক প্রায় সমস্ত মোমো শেষও হয়ে যেতে পারে।

Advertisement