খাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি না হলে কি মন ভাল থাকে? সে পায়েস হোক কিংবা ফিরনি অথবা যে কোনও মিষ্টি। পায়েস তো বাঙালি বাড়ির প্রায় নিয়মিত পদ। কিন্তু এই ফিরনির উদ্ভব কোথা থেকে ? ফিরনি ছিল মধ্যপ্রাচ্য এবং পারস্যের খাবার। এটি ভারতে প্রথম নিয়ে আসেন মুঘলরা। মাটির বাটিতে দুধ, বাদাম ও সুগন্ধি চাল দিয়ে তৈরি পুডিং জাতীয় খাবার ছিল ফিরনি। পারস্যে বিশ্বাস করা হত যে, ফিরনি দেবদূত বা ফেরিস্তাদের খাবার। তাঁদের উদ্দেশেই নিবেদন করা হত এই সুখাদ্য। ফিরনি তৈরি করা এমন কিছু কঠিন নয়। চেষ্টা করলে বাড়িতেই বানানো যায় এই পদ। বিরিয়ানির সঙ্গে মিষ্টিমুখের আদর্শ উপাদান।
পারস্যের ফিরনি বাজিমাত করেছে কলকাতার বিরিয়ানির সঙ্গেও
ফিরনি ছিল মধ্যপ্রাচ্য এবং পারস্যের খাবার। এটি ভারতে প্রথম নিয়ে আসেন মুঘলরা।
উপকরণ :
১. ২ লিটার দুধ
২. আধ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
৩. ২ চাপ চিনি
৪. ১ চামচ গোলাপ জল
৫. সাদা ক্রিম
৬. কাজুবাদাম, কিশমিশ
প্রণালী :
১. আধ কাপ গোবিন্দভোগ চালকে ভাল করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। তার পর চাল বেটে নিতে হবে।
২. একটি পাত্রে দুধ গরম করতে দিন। তাতে চাল বাটা দিয়ে দিন। এবার নাড়তে থাকুন।
৩. চাল সেদ্ধ হলে চিনি নিন ২ কাপ। আর ১ চামচ গোলাপ জল ঢেলে দিন পাত্রে। এবার আরও কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন।
৪. এবার পাত্রটিতে ক্রিম ঢেলে দিয়ে আর একটু নাড়িয়ে নিন।
৫. এই বারে আপনি মাটির ছোট ছোট পাত্রে ফিরনিটিকে নামিয়ে নিয়ে তার উপর কাজু কিশমিশ ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৬. ফিরনি রান্নার শেষে মাটির পাত্রে নামানোর পর সেটিকে ফ্রিজে ঠান্ডা করবার জন্য রেখে দিতে হবে। নইলে ফিরনি তৈরি হবে না।
এই ভাবে ঘরে বসে বানিয়ে নিতে পারেন ফিরনি।