বাঙালি আমিষের বশ। প্রচলিত এই ধারণা রোজ দিনভর এসে ধাক্কা খায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের এক ধাবায়। তিন প্রজন্মের এই ধাবার বয়স এখন ৯৯। শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো এই খাবারের জায়গায় প্রথম থেকেই নিরামিষ রান্না হয়ে আসছে। তার স্বাদগ্রহণের জন্য ‘বলবন্ত সিংহ ইটিং হাউস’-এর সামনে বাঙালির ভিড় শহরের যে কোনও রেস্তরাঁর কাছে ঈর্ষণীয়।
প্রতিযোগীদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকার প্রধান কারণ, খাবারের গুণমানের সঙ্গে আপস না করা। জানাচ্ছেন ধাবার ম্যানেজার প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এই ধাবায় সব খাবার তৈরি হয় খাঁটি ঘি দিয়ে। সেই ঘি বাজারচলতি নয়। নিজেদের ঘরে তৈরি ঘিয়ে ধাবার সব খাবার রান্না করা হয়।
এই রীতি মেনে চলা হচ্ছে প্রথম দিন থেকেই। তবে প্রথম থেকেই পঞ্জাবি খাবারের জন্য এত সুখ্যাতি ছিল না এই ধাবার। সে সময় এখানে মূলত চা পাওয়া যেত। সেই বিখ্যাত দুধ চায়ের ধারা আজও বইছে। রোজ এই ধাবা থেকে অন্তত ২ হাজার থেকে ৪ হাজার চা বিক্রি হয়। শনি এবং রবিবার বিক্রি বাড়ে। মাটির ভাঁড়ে মশলাদার ঘন দুধের চায়ে তৃপ্তির চুমুক দেন ক্রেতারা। কখনও কখনও সেই চায়ে যোগ হয় কেশরের পরশ। কেশর চায়ের সঙ্গে পাল্লা দেয় দুধ কোলা। কলকাতায় এই রেসিপি এসেছে তাদের হাত ধরেই।